১১ ই জানুয়ারি থেকে তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি
নিউজ ডেস্ক : পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের বড় মাপের কর্মসূচি । ‘দুয়ারে সরকারের’ ধাঁচে’ মানুষের দরজায় তৃণমূল কংগ্রেস। নাম রাখা হয়েছে সুরক্ষা কবজ।সোমবার সাউথ কলকাতার মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই কর্মসূচি ঘোষণা করলেন ।
সোমবারের বৈঠকে হাজির ছিলেন, তৃণমুলের সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক, জেলা সভাপতি, মেয়র,চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান, মেয়র পারিষদ দলের শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব দের।আগামী জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারী মাসে রাজ্যে ৩৩০০গ্রামে রাত্রি জাপন করবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।সেই দলে থাকবেন সাংসদ, বিধায়ক ও তৃণমূল নেতারা।এই কর্মসূচি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জমি তৈরিতেও সহায়ক হবে।
আপাতত এই কর্মসূচি কে কেন্দ্র করে ৩০০ জনকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে একটি প্রতিনিধি দল। জানুয়ারি মাসের ১০ দিন ও ফেব্রুয়ারী মাসের ১০ দিন এই কর্মসূচি চলবে। যেখানে যোগ দেবেন দলের সাংসদ, বিধায়করা। এই কর্মসূচি ১০ দিন করেই চলবে। প্রথম দফার কর্মসূচি তে ৩২০ জন নেতা নামবেন।
B. S. K কেন্দ্র সারা রাজ্য জুড়ে খোলা হবে। এটা মূলত কম্পিউটারাইজড ভাবে পরিচালিত হবে। এখানে কম্পিউটার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ক কাজকর্ম হবে।প্রায় ৬০০০ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে বকেয়া,২০০০কোটি টাকা রাজ্যে নিজের থেকে ১০০ দিনের কাজে ব্যবহার করেছে।প্রায় ৪৮লক্ষ কর্ম দিবস। বাড়ি প্রকল্পে ২ কোটি বাড়ি অর্থ্যাৎ প্রায় ১০ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন।
প্রসঙ্গত,২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপর্যয়ের পর তৃণমূলের পরামর্শদাতা হিসেবে প্রশান্ত কিশোরকে নিযুক্ত করা হয়।ওই বছরেই ২৯ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে’ দিদিকে বলো ‘কর্মসূচি ঘোষণা করেন মমতা।২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল জয় লাভ করে। আরো অনেক বিষয়ের সঙ্গে প্রভাব ছিল বলে মনে করা হয় এই জয় লাভ তৃণমূল কংগ্রেসের। এবার ভোট কুশলী পি.কে না থাকলেও নিজ উদ্যোগেই একই ধাঁচের কর্মসূচি ঘোষণা করলেন সুরক্ষা কবচ বা মানুষের দরজায় তৃণমূল। মোটের উপর মানুষের কাছে গ্রামে গ্রামে নেতারা কর্মীদের কে সঙ্গে নিয়ে তাঁদের সমস্যা কথা শুনবে এবং সেই সমস্যা যত তাড়াতাড়ি সমাধান করা হবে, সঙ্গে দিদির দূত একটি আপ ডাউনলোড করে মানুষের সাথে জুড়ে দেওয়া হবে, জাত সাধারণ মানুষের কোন অভিযোগ থাকলে সেই অ্যাপের মাধ্যমে মানুষ সেই অভিযোগ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে পারবেন।