এক যুবককে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ
নিউজ ডেস্কঃ দুর্গাপুরে এক যুবককে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। কাঁকসা বাবনাবেড়া অঞ্চলের এই ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে গ্রেপ্তার করলেও অধরা বেশ কয়েকজন। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে, ভিত্তিহীন অভিযোগ দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
গত বছরের এপ্রিল মাসে অভাবের সংসার থেকে বেড়িয়ে আসতে মুম্বাই পাড়ি দিয়েছিল, বছর ২৩ এর ঝুলন রুইদাস। কালীপুজোর সময় বাড়ি ফিরে এসে কাঁকসার বাবনাবেড়ার বাসিন্দা ঝুলন রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করে এখানে।গত ১৫ তারিখ রাতে পাশের গ্রামের ছেলেদের সাথে প্রথম কিছুটা বচসা হয়, আর ঠিক তার পরের দিন রাতে ঘর থেকে ঐ দুষ্কৃতীরা ঝুলনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পাশেই থাকা একটি মাঠে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ, রক্তাত্ত অবস্থায় মাঠেই পড়েছিল ঝুলন, পড়ে স্থানীয়রা পরিবারকে সাথে নিয়ে গিয়ে কাঁকসার রাজবাধের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
মাথার আঘাত গুরুতর থাকাতে তার অস্ত্রপ্রচার হয়।এরপর ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় অস্ত্রপ্রচারের পর। কিন্তু ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দিন কয়েক আগে ফের তাকে বেসরকারি ঐ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল মারা যায় ঝুলন। এখন মৃতের পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্তরা সবাই তৃণমূল করে। প্রথমে এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতারা কেসটা টাকা দিয়ে মিটিয়ে নিতে বলে। কিন্তু এতে রাজি হয়নি তারা। যেহুতু তাদের পরিবার বাম মনোভাপন্ন সেহুতু পুরোনো রাগ থেকে এই খুন হতে পারে বলে অনুমান ঝুলনের পরিবারের।
কাঁকসা থানার পুলিশ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি কয়েকজন অধরা এখনো। এই ঘটনায় এখন ব্যাপক উত্তেজনা দুর্গাপুরের কাঁকসার বাবনাবেড়ার রুইদাস পাড়াতে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী বলতে ছিল এই ঝুলন রুইদাস। জেলা সিপিআইএমের সম্পাদক মন্ডলী সদস্য জনার্দন চ্যাটার্জীর অভিযোগ নৈরাজ্য চলছে বাংলায়। সুর সপ্তমে তুলেছে বিজেপি জেলা নেতৃত্বও। বিরোধী হলেই তৃণমূল খুনের রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
দলের কাঁকসার ব্লক সভাপতি ভবানী প্রসাদ ভট্টাচার্য্যর পাল্টা দাবি এর সাথে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই।অহেতুক রাজনীতি হচ্ছে এটা নিয়ে। পুলিশ পুলিশের মতো করে কাজ করুক। গোটা ঘটনায় টানটান উত্তেজনা রয়েছে দুর্গাপুরের কাঁকসার বাবনাবেড়া রুইদাস পাড়াতে। কাঁকসা থানার পুলিশ অধরাদের জন্য তল্লাশি শুরু করেছে।