শহিদ স্মরণ দিবসের মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুকে

0 0
Read Time:5 Minute, 5 Second

নিউজ ডেস্ক::নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণ দিবসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। পাল্টা নাম না করে তাঁকে হালি নেতা এবং সারদা-রোজভ্যালির টাকা লুটের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযুক্ত করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শহিদ স্মরণ দিবসের অন্য মঞ্চ থেকে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, চোরেদের চিহ্নিত করতে না পারলে তিনি শুভেন্দু অধিকারী নন।

৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণ দিবসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে ভোরেই হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেখানে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর কোনও নৈতিক অধিকার নেই শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামের মানুষ জানে ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি কারা ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ওপর গুলি চালিয়েছিল, নৃশংস হত্যার পেছনে কারা দায়ী। তিনি অভিযোগ করেন, তৎকালীন শাসকদল সিপিআইএমের কর্মী-সমর্থক যারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান এই শুভেন্দু অধিকারী। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, যারাই ঘাতক তারা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে, এটাই শহিদদের প্রতি সবথেকে বড় অপমানের। তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে আন্দোলনকারীদের ফাঁসাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী।

নন্দীগ্রামের ভাঙ্গাভেড়াতে শহীদ স্মরণ দিবস পালন করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে নন্দীগ্রামের একনম্বর ব্লকের সোনাচূরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙাবেড়ায় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শহিদ স্মরণ দিবস পালন করে আসছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিনও ভোরে নন্দীগ্রামের শহিদ মিনারে শহিদ স্মরণ দিবস পালন করেন তিনি। সেখানে তিনি নিজেকে বন্ধু, সেবক বলে উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা।

শুভেন্দু অধিকারী এদিন মঞ্চ থেকে নাম না করে কুণাল ঘোষের মন্তব্যের জবাব দেন। তিনি বলেন, একফোনে একলাখ অনুষ্ঠানের কথা সবাই জানে। মোড়ে মোড়ে ঝোলানো থাকত। তিনি বলেন, গুড় বাতাসা বিলি করা আর চড়াম চড়াম ঢাক বাজানো বীরভূমের বড় গুণ্ডার পরিণতি সবাই দেখতে পাচ্ছেন। মালদা ও পূর্ব মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় দল আসা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও ১৫ টি জেলায় এই টিম আসবে। যদি তিনি চোরেদের চিহ্নিত করতে না পারেন, তাহলে তিনি শুভেন্দু অধিকারী নন বলেও জানান বিরোধী দলনেতা।

বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি নিজে এঁদের দেহ তুলেছিলেন। যে কাজ সেই সময়ে তিনি করেছিল, তার সুবিধা ভোগ করছে পিসি-ভাইপো, বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, এদের (তৃণমূলের) থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল সিপিআইএম তথা বামফ্রন্ট। এদিন তিনি বলেছেন, বামপন্থীরা সবাই খারাপ নন। তাঁদের সঙ্গে প্রচুর বামপন্থী মানুষ রয়েছেন বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, নন্দীগ্রামের হিন্দু বামপন্থী ভোটাররা তাঁকে ভোট দিয়েছিলেন, তাই তিনি জয় পেয়েছেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!