শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বলতে চাপ নবান্নের অফিসারের!
নিউজ ডেস্ক::জেল বন্দী থাকার সময় তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করতে চাপ দেওয়া হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন কাঁথি পুরসভার ঠিকাদার রাম পাণ্ডা।
এমন কী রিভলবার দেখিয়ে মিথ্যা বিবৃতি আদায়ের চেষ্টার মতো বিস্ফোরক অভিযোগও তিনি করেছেন।
শুভেন্দু অধিকারীর টাকা কোথায় আছে বল, না হলে ৮৭টা কেস দেব। নবান্নের অফিসাররা বন্দুক দেখিয়ে তাঁর থেকে শুভেন্দু অধিকারীর নামে খারাপ বিবৃতি আদায় করার চেষ্টা করেছিল। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই বিস্ফোরক কাঁথি পুরসভার ঠিকাদার রাম পণ্ডা। এই অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে এখন চর্চি বিষয়। প্রসঙ্গত, কাঁথি পুরসভার রাঙামাটি দুর্নীতি মামলায় ১৬ দিন জেল খাটার পর ফের ২৭ ডিসেম্বর ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে কাঁথি পুরসভায় ঠিকাদারি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল কাঁথি পুরসভার ঠিকাদার রাম পণ্ডাকে। গত বুধবার সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার পাশাপাশি রাম পণ্ডার জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার জেল থেকে ছাড়া পান তিনি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাম পণ্ডা বলেছেন, তাঁরা শুভেন্দু অধিকারীকে ভালবাসেন। ওনার সম্পর্কে যাতে কোনও খারাপ বিবৃতি দেন, খারাপ কিছু বলেন, এটাই চাইছে প্রশাসন। বারবার তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ২০টি মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ১৬ দিন জেল খাটার পরে ২৭ ডিসেম্বর তাঁকে ফের গ্রেফতার করা হয়।
রাম পণ্ডা দাবি করেছেন, যে মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তার বদলে উল্টো পাল্টা প্রশ্ন করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর টাকা কোথায় এসব জানতে চাওয়া হয় পুলিশের তরফে।
এরপরই রামের কথায় সরাসরি উঠে আসে নবান্নের বড় অফিসারদের কথা। তিনি বলেন, কাঁথি থানা থেকে ৩০ ডিসেম্বর তাঁকে সকাল ৯টায় বলা হয় তমলুক আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু নন্দকুমার পেরিয়ে তাঁকে একটা চুন কারখানার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাঁকে একটা ফাঁকা ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়, নবান্ন থেকে বড় বড় অফিসাররা আসছেন ঠিকঠাক করে উত্তর দেবেন। এরপর তিন জন অফিসার ঢোকেন সেখানেয একজন ঘরে ঢুকেই রিভলভার বের করেন। গলা উঁচিয়ে বললেন, শুভেন্দু অধিকারীর টাকা কোথায় বল। না বললে ৮৭টা কেস দেব। রাজ্যের সমস্ত জেলে ঘুরিয়ে আনব। আর যদি বলতে না চাস তাহলে পুলিশ যা বয়ান লিখবে, তাতে সই করতে হবে। সেটা মিথ্যা হোক, সত্যি হোক। যদিও এই অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্যে নারাজ প্রশাসন।