সোনা চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যার্থ, ০১ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের সোনার বিস্কুট উদ্ধার
নিউজ ডেস্ক::০৭ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখের ০৭৪৫ টায়, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন ১৪৫ ব্যাটালিয়নের আইসিপি পেট্রাপোলের সতর্ক জওয়ানরা খবর পান যে একটি যাত্রীবাহী বাস (এনআর ট্রাভেলস) আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতায় আসছে। সেই বাসে সোনা পাচারের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কোম্পানি কমান্ডার একটি তল্লাশি দল গঠন করেন এবং বাসটিকে আইসিপিতে থামান। বাসটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি করলে লাগেজ বগির ভিতর থেকে ৩০ টি সোনার বিস্কুট পাওয়া যায়। জওয়ানরা সঙ্গে সঙ্গে বাসের চালক, কন্ডাক্টর, বাস এবং সোনাকে আটক করে এবং আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইসিপি-তে নিয়ে আসে। বাজেয়াপ্ত করা সোনার বিস্কুটগুলির ওজন ৩,৪৯৯.১৪ গ্রাম এবং সেগুলোর আনুমানিক মূল্য ১,৯৩,৮১,৭৩৯/- টাকা। ধরা পড়া চোরাকারবারিদের পরিচয় – মো. ফরহাদ (বাস চালক) ও মো. উমর ফারুক (সহচালক), বাংলাদেশ রূপে প্রকাশ হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারীরা জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের চোরাচালানের সাথে জড়িত। তারা আরও জানায়, এই বিস্কুটগুলো বাংলাদেশি চোরাকারবারী মো. কামাল, ঢাকার বাসিন্দা তাদের দিয়েছিল। এরপর এই বিস্কুট মো. জামাল, নিউ মার্কেট, কলকাতার কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। এই কাজের জন্য তাদের ১০,০০০/- টাকা পাওয়ার কথা ছিল।
গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারী ও জব্দকৃত সোনা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পেট্রাপোলের কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৪৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এ কাজে সাফল্যও পেয়েছে। যার কারণে চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িতরা প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে ।