নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মানহানীর অভিযোগকারীদের ১ টাকা জরিমানা
নিউজ ডেস্কঃ আদালতের দাবী মেনে পর্ষদ নিয়োগ দুর্নীতির তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকা প্রকাশের ফলে সামাজিক সম্মানহানীর অভিযোগ করে আদালতে যান ১২ জন শিক্ষক। বুধবার মামলায় অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন ওই ১২ শিক্ষক। তাঁদের আবেদন খারিজ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করলেন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গোলমাল পাকাতেই এই ধরনের আবেদন করা হয়েছিল। ওই মামলাকারীদের ১ টাকা প্রতীকী জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই উত্তরপত্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ওএমআর শিটের নম্বর বদলে গিয়েছিল বলে অভিযোগ সামনে আসে। যাঁদের ওএমআর শিটে জালিয়াতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের উত্তরপত্র
প্রকাশ করা হয়েছিল আদালতের নির্দেশে। স্বাভাবিক কারণেই এই আবেদনে আদালত ক্ষুব্ধ। এমনকি এটা এক ধরনের আদালত অবমাননার সামিল।ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, বার বার করে আদালতের কাজে হাত দেওয়ার এই চেষ্টা বন্ধ হওয়া দরকার। অন্যথায় গণতন্ত্র বিপন্ন হবে।
জাস্টিস গাঙ্গুলি বলেন,এসএসসি-ও ওএমআর শিট প্রকাশের কারণ জানে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এই মামলার সঙ্গে ব্যাপক হারে শিক্ষার নিয়োগ দুর্নীতি যুক্ত। এসএসসি সার্ভারের মেধাতালিকার সঙ্গে কোনও মিল নেই গাজিয়াবাদের মাদার সার্ভারের ওএমআর সংক্রান্ত তথ্যের। ০ বা ১০ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কীভাবে ৪২ বা ৪৩ নম্বর মিলল? এদিন সেই প্রশ্ন আরও একবার তুলেছেন বিচারপতি। তিনি বলেন,এভাবে আদালতের উপর চাপ দিয়ে লাভ হবে না কিছু। ভারতীয় সংবিধান অনেক সবল।