“আপনি একের পর এক রক্ষাকবচ দিয়ে শুভেন্দুকে বেপরোয়া করে তুলেছেন”- রাজশেখর মান্থা সম্পর্কে কুণাল ঘোষ
নিউজ ডেস্ক::কোলকাতা হাইকোর্টের অচলাবস্থা নিয়ে তৃণমূলের স্ট্যান্ড ঠিক মতো জানা না গেলেও আজকে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ আবার মুখ খুললেন বিচারপতির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি অনুরোধ করব, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে, আপনি একের পর এক রক্ষাকবচ দিয়ে ওঁকে বেপরোয়া করে তুলেছেন, এই ধরনের অনৈতিক কাজকর্ম করার জন্য। আপনি সময়মতো ব্যবস্থা নেবেন না কেন? এক জন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হিন্দু-মুসলমান করবেন, সম্প্রীতি নষ্ট করবে, বিদ্বেষপূর্ণ ভাষণ দেবে, আপনার রক্ষাকবচে নিজেকে সে বলীয়ান ভাবছে।
এটা সংবিধানের বিরোধী…আপনি যে বিচারে শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়ে যাচ্ছেন, তাহলে আপনার চেয়ার থেকেই এটা দোষ হিসেবে বিবেচনা করে কেন সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না” এর আগেও কুণাল ঘোষ রাজশেখর মন্থারের নাম ধরে অত্যন্ত কুৎসিত মন্তব্য করেছিলেন। নাগরিক মহল মনে করে ওই মন্তব্য আসলে আদালত অবমাননা।
সম্প্রতি হাওড়াতের একটি জনসভায় বিরোধী দলনেতা যে বক্তব্য রাখেন তা শালীনতা বিরোধী বলেই মনে করে অনেকে। সেই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনেই বৃহস্পতিবার কুণাল ঘোষ বলেন,”এই ভেজাল হিন্দু কেউ বিশ্বাস করে না। কয়েক দিন আগে বন্দে ভারতের উদ্বোধন করতে গিয়ে, ‘জয় শ্রীরাম’ শব্দ শুনে যে অঙ্গভঙ্গি করেছেন উনি, যে আচরণ করেছেন, আর আমাদের দেবতা রামচন্দ্রকে যিনি প্রকাশ্যে এনে অপমান করেন, তিনি কখনও প্রকৃত হিন্দু হতে পারেন না। অর্থাৎ গঙ্গা আরতি করুন বা গঙ্গায় ঝাঁপ দিন, হিন্দু ভোট আপনার কপালে নেই।” স্বাভাবিক কারণেই কুণালের এই বক্তব্যের জন্য বিজেপি নেতৃত্ব ক্ষুণ্ন হয়েছে।
রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আদালত নিয়ে কিছু বলার ধৃষ্টতা আমাদের নেই। কুণাল বাবুর আছে। ও জেল খাটা মানুষ। ওর অনেক গুণ আমাদের অত গুণ নেই।” সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যও বলেন, “কুণাল ঘোষ যখন গ্রেফতার হয়েছিলেন, সেই সময় সকাল বিকেল বলতেন মমতাও জড়িত, উনি সব জানেন। আর এখন এ সব বলছেন।” আইনজীবীদের মধ্যেও কুণাল ঘোষের বক্তব্যের প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। নাগরিক মহল মনে করছেন, বিচার ব্যবস্থার প্রতি এই অনাস্থা গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক।