প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বিষয়ে সমীক্ষা করতে দ্বিতীয়বার টিম আসছে– কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী কপিল দৌসার পাটিল
নিউজ ডেস্ক::নদীয়ার কৃষ্ণনগর সার্কিট হাউসে এসে পৌছালো কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল এবং পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময়ী মাহাতো
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বিষয়ে সমীক্ষা করতে দ্বিতীয়বার টিম আসছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী কপিল দৌসার পাটিল। শুক্রবার কৃষ্ণনগরে এসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন,’প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনা নিয়ে কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সেসব লিখেছেন। আবার সমীক্ষা হবে। সমীক্ষা থেকে যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে, তা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেশ কয়েক হাজার আবেদন জমা পড়েছে। ফের একটি টিম সমীক্ষা করতে আসছে। তারা সমীক্ষার যা রিপোর্ট দেবেন।সেই অনুযায়ী কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি।প্রথম দিকে আবাস প্লাস যোজনার ঘর বরাদ্দ করা হয়েছিল ।
তারপরে বেশ কিছু নাম কাটা গিয়েছে। কিন্তু কাদের নাম থাকবে সেই তালিকা কেন্দ্রীয় সরকার করে না। নামের তালিকা যেমন করে না,তেমনি নাম কেটে বাদও দেয় না। অনলাইনে এবছর ৫৭ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ১৭ লক্ষ কাটা গিয়েছে। ১১ লক্ষ নামের তালিকার টার্গেট কেন্দ্র সরকার রাজ্য কে দিয়েছে। কিন্তু নাম কাটা নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে।’এদিন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
অন্যদিকে, পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময়ী মাহাতো, মুর্শিদাবাদে বেলডাঙ্গার বিধায়কের উদ্ধার হওয়া টাকা প্রসঙ্গে বলেন, বিধায়কদের কাছে এত টাকা থাকলে, কোম্পানির সর্দার , কোম্পানির মালকিনের কি পরিমান থাকতে পারে।
তবে তিনি বিশ্বাস করেন কেন্দ্রীয় তদন্তে, সমস্ত চোরেদের দল ধরা পড়বে।এ বাংলাকে ১২ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখে নিজেরা লুটেপুটে খেয়েছে। নিচ থেকে টাকা যে উপর তলায় যেত তা এখন প্রমাণ হচ্ছে। আগামী ১৯ তারিখে কেন্দ্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, কৃষ্ণনগর উত্তর সংগঠনিক জেলায় সভা করতে আসছেন। যদিও দলীয় কর্মসূচি তবুও আগামী দিনে কি এ রাজ্যের সরকারের কি হতে চলেছে তার আভাস তিনি দিয়ে যাবেন। তবে আগামী দিনের নির্বাচনগুলিতে মানুষ যোগ্য জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত।