জোশীমঠের মতো অবস্থা হতে পারে বাংলার রানিগঞ্জের : মমতা ব্যানার্জী
নিউজ ডেস্ক::জোশীমঠের মতো অবস্থা হতে পারে বাংলার রানিগঞ্জের! যে কোনও সময়ে ধস নেমে অন্তত ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মঙ্গলবার মেঘালয়ের উদ্দেশ্যে উড়ে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
যেখানে মোদী সরকারের একাধিক কাজ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন প্রশাসনিক প্রধান। আর তা বলতে গিয়েই জোশীমঠের সঙ্গে রানিগঞ্জের তুলনা করে বসেন তিনি। আর এহেন মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।
রানিগঞ্জ মানেই কলিয়ারি! চারপাশ জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কয়লা-খনি। মাঝে মধ্যেই খনিতে আটকে পড়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, কয়লা উত্তোলনের কারণে মাঝে মধ্যেই এলাকার বিস্তীর্ন অঞ্চলজুড়ে ধস নামে। আর তা নিয়েই কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে একটা সংঘাত রয়েছে। ইসিএল কর্তাদের দাবি, অবৈধ ভাবে কয়লা উত্তোলনের কারণে এই ঘটনা ঘটে। এমনকি রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও বারবার প্রশ্ন ওঠে। আর এই রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যেই বিস্ফোরক দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
মমতা বলেন, যে কোনও সময়ে ধস নেমে অন্তত ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। শুধু তাই নয়, ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলেও দাবি তাঁর। এমনকি এই বিষয়ে ১০ বছর ধরে দরবার করেও কোনও টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না বলে দাবি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। উল্টে ইসিএল জমি আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ তাঁর। এর ফলে রাজ্য সরকার সেখানকার মানুষদের জন্যে পুনবাসনের ঘর তৈরি করে দিতে পারছে না। রাজ্যের কাছে যতটা টাকা ছিল তা দিয়ে কিছুটা অবশ্য করা হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এর মধ্যে বড় কিছু অঘটন ঘটলে কীভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব হবে? তা নিয়ে রীতিমত চিন্তিত তিনি।
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, জোশীমঠের ভাঙন কিসের জন্যে তা এখনও স্পষ্ট নয়। অনেকে বলছেন, বেআইনি নির্মানের জন্যে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে রিপোর্ট আসলে তা বোঝা যাবে। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয় যথেষ্ট আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করছেন তা ঠিক নয়, তবে সম্পূর্ণ কোলিয়ারি জুড়ে যেভাবে বেআইনি খনন চলছে সেজন্যে সেখানকার মানুষ চরম সমস্যায় রয়েছে বলে মত বিজেপি নেতার। তবে কিন্তু কোল ইন্ডিয়া কিংবা ইসিএলের মধ্যে কিছু হলে রাজ্য সরকার বক্তব্য রাখতেই পারে। কিন্তু সরকার কোনও ভাবে নিজের দায়িত্ব থেকে এড়িয়ে যেতে পারে না বলেও মত বিজেপি মুখপাত্রের।