বিজেপির টার্গেট বাংলার ২৫ আসন!
নিউজ ডেস্ক::জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শেষে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, বাংলায় গতবারের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি। রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৫ আসনের আশেপাশে থাকবে বলে তাঁর ধারণা। বুধবার সুকান্ত মজুমদারের সেই দাবি নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন পূর্বসুরি দিলীপ ঘোষ।
বুধবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বাংলায় বিজেপি ২৫ আসন পাবে, সুকান্ত মজুমদারের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাহলে কি ২০২৪-এর লোকসভায় বিজেপির টার্গেট ২৫টি আসন?
এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট যখন বলেছেন তিনি নিশ্চয়ই টার্গেট রেখেছেন। বাকিরা লড়াই করবেন সেটাকে ‘এচিভ’ করবার জন্য। সম্প্রতি বিজেপির জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠক হল দিল্লিতে। সেই বৈঠকে দল আগামীর লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছে।
সে প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, লোকসভার প্রস্তুতি চলছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে যে কমিউনিটিতে বা যে এলাকায় আমাদের পার্টি দুর্বল আছে, সেখানে গিয়ে সাধারণ লোকের সাথে সম্পর্ক বাড়াতে হবে। বুথ স্তরে শক্তিবৃদ্ধির কাজ চলছে। মন্ত্রীরা নেমে পড়েছেন এবং সমস্ত নেতারাও নেমে পড়েছেন।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে, তার মাধ্যমে আমরাও নেমে পড়েছি ময়দানে। বাংলায় মানুষের সঙ্গে দুর্নীতি হয়েছে, গরিব মানুষকে লুঠ করা হয়েছে, তাঁদের অধিকারকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি। সারা পশ্চিমবাংলার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। এর ফলে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন।
দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে এক হাত নিয়ে হলেন, যারা এতদিন চুরি করে খাচ্ছিলেন, ভাবছিলেন এরকম চলবে, আজকে মানুষ তাঁদের চোখে চোখ রেখে কথা বলছেন। মন্ত্রীদের সামনে মানুষকে মার খেতে হচ্ছে। রাস্তা অবরোধ হচ্ছে। তৃণমূলের এমএলএ-এমপিরা আজ বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। এটা পশ্চিমবাংলার আজকের পরিস্থিতি। এই অবস্থায় বিজেপি মানুষকে সাহস জুগিয়েছে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, নাড্ডাজির নেতৃত্বে লোকসভা ও বিধানসভায় ভালো ফল করেছে বিজেপি। সর্বভারতীয় নেতৃত্ব তাই বাংলা জয় নিয়ে বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেছেন বঙ্গ নেতৃত্বের। এবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে নাড্ডাজির আরো এক বছরের কার্যকাল বেড়েছে। সারা দেশে আমাদের পার্টিতে নির্বাচনের বছর ছিল এটা। আগামী বছর সর্বভারতীয় নির্বাচন আছে, তাই পার্টিতে নির্বাচন হচ্ছে না। নিশ্চয়ই তাঁর নেতৃত্বে পাটি বহু জায়গায় জিতেছে। বেড়েছে জয়ের সম্ভাবনা। আমরা আশা করব সেই সাফল্য আগামী দিনেও বজায় রাখতে।
কংগ্রেসের ভারতজোড়ো যাত্রার অনুকরণে বিজেপি জোড়ো যাত্রার ডাক দেওয়া হয়েছে। সে প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, যারা যারা এখনও বিজেপির সাথে যুক্ত হননি, প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ আমাদের ভোট দেন না, তাঁদের কাছে পৌঁছাতে মোদিজি এই যাত্রার কথা বলেছেন। অনেকেই আমাদের কাজে খুশি, কিন্তু পার্টির সঙ্গে যুক্ত নন, তাদেরকে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। আমরা গুজরাতে এভাবে সফল হয়েছি।