অমর্ত্য সেনকে চড়া আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর
নিউজ ডেস্ক: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলির গুরুত্ব বাড়বে মনে মন্তব্য করেছিলেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। এদিন সেব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কোভিডের সময় কোথায় ছিলেন এই ব্যক্তি।
ভোট পরবর্তী হিংসার সময় যখন বিজেপির ৫৭ জন খুন করা হয়, গ্রাম জ্বালানো হয়, সেই সময় অমর্ত্য সেন কোথায় ছিলেন, প্রশ্ন করেন শুভেন্দু অধিকারী।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন নিয়ে মন্তব্যে অমর্ত্য সেনকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এব্যাপারে তিনি নাম না করে অধীর চৌধুরীর কথা উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গ অমর্ত্য সেনের মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, সুদীপ্ত সেনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, গত ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে অমর্ত্য সেন বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। তবে নির্বাচনে মোদীজির আসন বাড়ে। আর এবার ভোটের প্রায় দেড় বছর আগে পূর্বাভাস করেছেন, সেক্ষেত্রে তিনি নিশ্চিত মোদীর আসন সংখ্যা বাড়বে। চারশোর বেশি আসন নিয়ে মোদীজি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবেন, বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এটা তিনি অমর্ত্য সেনের ২০১৯-এর আগে করা মন্তব্য ধরেই করেছেন বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, সিএএ-র মতো বিষয়ে সমাজ ব্যবস্থায় সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ কমবে। এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তিনি (অমর্ত্য সেন) রাজনৈতিক নেতার মতো বক্তব্য রাখছেন। অমর্ত্য সেন, তাঁর হিডেন অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী কথা বলছেন বলেও মনে করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর এই কথার সঙ্গে অর্থনীতিবিদ কিংবা শিক্ষাবিদের কথার কোনও মিল নেই। এচা দ্বিচারিতা বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, উনি বিদেশে থাকুন, বিশ্রামে থাকুন। দেশ মোদীজির নেতৃত্বে এগোবে। আর যদি পরামর্শ কিছু থাকে, তাহলে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে কিংবা ইউক্রেনের জেলেনস্কিকে দিন, তাহলে ভাল কাজে লাগবে। এখানে উনার পরামর্শের প্রয়োজন নেই।
সাম্প্রতিক সময়ে অমর্ত্য সেন সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আগামী বছরে ভোট কোনওভাবেই একমুখী কিংবা বিজেপিকে কেন্দ্র করে হবে না। সেই ভোটে আঞ্চলিক দলগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। এব্যাপারে তিনি তৃণমূল ছাড়াও ডিএমকে এবং সমাজবাদী পার্টির কথা উল্লেখ করেছিলেন। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বলেছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য। তবে তিনি বিরোধীদের কতটা একত্রিত করতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অমর্ত্য সেন।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, কিছু দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে কোথায় তিনি (শুভেন্দু) বলবেন না। সেখানে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দেন, রাজ্যের সিকিউরিটি কমিশন নোটিফিকেশন ছাড়া যাবে না। কারণ সিকিউরিটি কমিশনে যে সদস্যদের কথা বলা হয়েছে, তা সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নেই। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের লোকায়ুক্তের কার্যকালের সময় বাড়াতে চেয়েছেন। এটাও হবে না। কারণ লোকাযুক্ত নিয়োগ হয় লোকপাল বিলের মাধ্যমে। সেখানে এক্সটেনশন হবে না। আচার্য হিসেবে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর ফাইলেও তিনি সই করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন রাজ্যপাল। তা করা হলে সুপ্রিম কোর্ট এবং ইউজিসির আইন ভঙ্গ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে লোকাযুক্ত এবং আচার্য পদ নিয়ে জোর করবেন না, সেখানে জানিয়েছেন, এমনটাই দাবি বিরোধী দলনেতার।