রাজ্যে ভিসি নিয়োগে টাকার লেনদেন, বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী

0 0
Read Time:5 Minute, 4 Second

নিউজ ডেস্ক: বর্তমানের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের চলার পথ আগেকার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের থেকে আলাদা। এদিন এমনটাই বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে রাজ্যপাল গত তিন মাসে কোনও বেআইনি বিল ছাড়েননি, ভবিষ্যতের ছাড়বেন না, বলেছেন তিনি।রাজ্যে উপচার্য নিয়োগে টাকার লেনদেন হয়েছে, এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা।

মুখ্যমন্ত্রী প্রথমদিন থেকে বর্তমান রাজ্যপালকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা।

মঙ্গলবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য এবং শিক্ষাসচিবকে নিয়ে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, আঙুর ফল টক। বর্তমান রাজ্যপালের কাছ থেকে বেআইনি বিলগুলি বের করতে পারেনি রাজ্য সরকার। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, জগদীপ ধনখড় রাজ্যপালের আসনকে একটা উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে রাজ্যপাল এবং রাজভবনের যে গুরুত্ব তৈরি হয়েছিল, তাকে নষ্ট করতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার ব্রাত্য বসুকে দিয়ে নাটক করেছেন, বলেছেন বিরোধী দলনেতা।

বিরোধী দলনেতা এদিন বলেছেন, তিনি রাজ্যপালকে উপদেশ দিতে পারেন না। তবে অনুরোধ করতে পারেন, সতর্ক থাকতে। কেননা তিনি সরল ও শিক্ষিত মানুষ। রাজ্যপালের পিছনে যিনি ছিলেন মনীশ জৈন, তাঁকে সিবিআই তিনবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁকে হাইকোর্টও ডেকে পাঠিয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, মনীষ জৈন একজন অভিযুক্ত আইএএস অফিসার। প্রসঙ্গত মনীষ জৈন রাজ্যের শিক্ষাসচিব। এছাড়াও ভিসিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এইধরনের লোকেদের নিয়ে বৈঠক করা রাজ্যপালের উচিত হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

তবে বর্তমান রাজ্যপাল সিকিউরিটি কমিশন, হাওড়া কর্পোরেশনের বিল আটকেছেন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর আচার্য হওয়ার বাসনাতেও জল ঢেলেছেন সিভি আনন্দ বোস। সেকারণে তিনি নিশ্চিত বেআইনি কাজে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গ দেবেন না বলে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে যদি তা করা হয়, তাহলে তিনি সংবিধানের রীতি মেনে যেখানে অভিযোগ জানানোর সেখানে অভিযোগ জানাবেন।

রাজভবনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির যেসব উপচার্যরা গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশের নিয়োগ মেরিট অনুযায়ী হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। এঁদের অনেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টাকা দিয়ে উপাচার্য হয়েছেন। ভিসি নিয়োগ করতে বিকাশ ভবনে একজন আলাদা লোককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ এইসব ভিসিই বেআইনি। তিনি বলেছেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পুনর্নিয়োগ যেমন বাতিল হয়েছে, তেমনই বাকিদের পদত্যাগ কিংবা বাতিল সময়ের অপেক্ষা বলেও মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্য এবং ওএসডি প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রসঙ্গত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইডির গ্রেফতারের পরেই এই দুই আধিকারিককে নবান্নের তরপে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কম্পালসরি ওয়েটিং-এ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ২০২২-এর অগাস্টে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!