তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ভাঙর!
নিউজ ডেস্ক::তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ভাঙর। দুপক্ষের সংঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশবাহিনী এই মুহূর্তে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মোতায়েন করা হয়েছে র্যাফ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাত থেকেই। যা আজ শনিবার ব্যাপক আকার নেয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, মূলত দলিয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। আজ রানি রাসমণিতে আইএসএফের একটি রাজনৈতিক সভা রয়েছে। আর সেই সভা উপলক্ষেই বিভিন্ন জায়গাতে আইএসএফের পতাকা লাগানোর কাজ চলছিল বলে অভিযোগ।
কিন্তু লাগানো পতাকাগুলিকে খুলে ফেলার অভিযোগ তৃণমূলের দিকে। আর তা নিয়েই আইএসএফ এবং তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত বেঁধে যায় বলে অভিযোগ।
যদিও তৃণমূলের দাবি আইএসএফ আরাবুল ইসলামের নামে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আর তা নিয়েই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ রীতিমত রণক্ষেত্র বেঁধে যায়। তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীরাক একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে দেয় বলে দাবি অভিযোগ। এমনকি ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুলি বোমা ছোঁড়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এমনকি তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আর তা নিয়ে একেবারে রণক্ষেত্রে তৈরি হয় গোটা এলাকায়।
আর এই সংঘাতের মধ্যেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যদিও সেই ভাইরাল ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করে দেখেনি ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হাতিশালা মোড়ে আইএসএফের গাড়িতে হামলার চালানোর চেষ্টা চলছে। গাড়ি লক্ষ্য করে ইট, লাঠি ছোঁড়ার মতো মারাত্মক ছবি ধরা পড়েছে। তবে এই ঘটনার পরেই তৃণমূলের আরও বেতাদ বাদশা আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
আরাবুলের দাবি, বিভিন্ন জায়গাতে পতাকা লাগানোর নামে পায়ে পা দিয়ে সংঘাত বাঁধানোর চেষ্টা করেছে আইএসএফ। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যেতেই বিধায়ক নওশাদ পালিয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতার। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার জন্যে অবিলম্বে বিধায়ক নওশাদকে গ্রেফতারের দাবি আরাবুলের।
অন্যদিকে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ বলেন, আমাদের কর্মসূচিটা বানচাল করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশ এখানে নীরব দর্শক। তবে আমিও এখানে অশান্তি করতে দেব না বলে হুঁশিয়ারি আইএসএফ বিধায়কের। ঘটনার প্রায় কয়েক ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও সেখানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত।