নিশীথ-কাণ্ডে ৩৫৬ জারি করার দাবি দিলীপের
নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক হিংসা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজ্য রাজনীতি অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠছে। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে বোমবাজি ও পাথরবৃষ্টি হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলিত হয় রাজ্য রাজনীতি। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে সম্মুখ সমরে নামে বিজেপি ও তৃণমূল।
রবিবার শিলিগুড়িতে জনসংযোগ অভিযানে নেমে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মন্ত্রীর উপর হামলা করে হাওয়া গরম করার চেষ্টা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর করা হচ্ছে। আর এই অভিযোগের তির শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, আক্রমণ আমাদের ওপর বহু হয়েছে। এখানে মন্ত্রীরও কোনো সুরক্ষা নেই। নাড্ডাজিকেও আক্রমণ করা হয়েছিল। বাংলায় সরকার বলে কিছু নেই। প্রশাসন বলে কিছু নেই। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকারও নেই। এখানে ৩৫৬ জারি করার মতো পরিস্থিতি হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের ভাবার দরকার আছে।
দিলীপ বলেন, উত্তরবঙ্গে কোনো উন্নয়ন করেনি রাজ্য সরকার। যতটুকু উন্নয়ন তা রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে ট্রেন লাইন- সবটাই কেন্দ্রীয় সরকার করেছে। এরা শুধু বিরোধীদের উপর হামলা চালাতেই ব্যস্ত। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি, ‘ওরা যদি এই চালিয়ে যায়, তবে আমরাও বসে থাকব না। ওরা শুরু করলে শেষ করব আমরা। যেভাবে দরকার সেভাবেই করব।
দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূলের সরকারটাকেও শেষ করব। এই সরকারকে কেউ চাইছে না। এই সরকারকে তাই উৎখাত করা জরুরি হয়ে গিয়েছে। এ জন্য অনেক কিছুই করা হবে। এদিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর নাম না করে দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী যিনি হয়েছেন তাঁর ভিটে মাটি তুলে দেব৷
দিলীপ ঘোষ বলেন, আগে রবি ঘোষ মন্ত্রী ছিলেন, তাঁকে হারিয়েছি। গৌতম দেব ছিলেন তাঁকেও হারিয়েছি। এখন উদয়ন গুহ হয়েছেন। তাঁকে একবার হারিয়েছি। আবারও তাঁকে আমরা হারাব। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষের হুমকি প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব পাল্টা তোপ দাগেন।
গৌতম দেব বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ সকালে এক কথা বলেন, বিকালে আরেক কথা বলেন। উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন হচ্ছে কি না উত্তরবঙ্গের মানুষ দেখছে।তৃণমূলের সরকার আসার পর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করে মানুষ কী কী পরিষেবা পেয়েছেন তা সবাই দেখছেন। রাজনৈতিক টিআরপি বাড়ানোর জন্য দিলীপ ঘোষ একেক সময় একেক রকম কথা বলেন। তাই তাঁর কথার কোনো উত্তর দিতে চাই না।’