বালি মাফিয়াদের হাত থেকে পালাতে ১৩০ কিমি বেগে গাড়ি চালায় পরিবহন দপ্তরের কর্মীরা
নিউজ ডেস্ক::আগে ছিল গাড়ির ড্রাইভার, এখন বিস্তর টাকার মালিক।পেশা শুধুই বলি মাফিয়াগিরি। বুধবার দুঃসাহসিক ঘটনার পরে পুলিশ বৃহস্পতিবার শান্তনু মজুমদার ও পুলক ওরফে পিকলু রায় নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পঁয়ত্রিশের শান্তনু এক সময়ে পূর্বস্থলীর প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক প্রদীপ সাহার গাড়ি চালাতেন। পরে এলাকার এক বিজেপি নেতার গাড়ি চালাতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। স্থানীয় সূত্রের দাবি, বছর দুয়েক বালির কারবার করছেন শান্তনু। পুলিশ, পরিবহণ দফতরের কর্তাদের সঙ্গে আলাপ রয়েছে বলে এলাকায় দাবি করতেন।
শান্তনুর গোটা পাঁচেক ডাম্পার রয়েছে বলে জেনেছে পুলিশ। পিকলুও এক সময়ে গাড়ি চালাতেন। সম্প্রতি তিনিও শান্তনুর সঙ্গে বালির ব্যবসা শুরু করেন। প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ শুক্রবার বলেন, ‘‘২০১৪ থেকে বছর দুয়েক আমার গাড়ি চালিয়েছিল শান্তনু। বিধায়ক হওয়ার পরে অন্য চালক আসেন। পরে শান্তনু গাড়ির ব্যবসা শুরু করেন বলে জেনেছি।’’ এর পরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল প্রবাহিত হয়েছে আর ওরা সঞ্চয় করেছে বিস্তর টাকা।
অতিরিক্ত বলি বোঝাই নিয়ে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ। সেই বিষয়টি সরজেমিনে দেখার জন্যই বুধবার পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যায়। তাদের ধারণা, অতিরিক্ত বালি বোঝাই গাড়িকে মোটা জরিমানা করায় আক্রোশ ছিলই। কর্মীরা ছবি তোলায়, তাঁদের ভয় দেখাতেই ধাওয়া করে গুলি ছোড়া হয় বলে অনুমান। অভিযানে পুলিশ এবং ক্যামেরা রাখা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। পরিবহণ দফতরের অভিযানে থাকা এক কর্মী জানান, ‘‘দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচতে ঘণ্টায় প্রায় ১৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিবেগে ছুটছিল আমাদের গাড়ি। পুলিশকে ফোন করা হয়। পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুরে রাস্তার ধারে পুলিশের ভ্যান দেখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচি!’’ সূত্র মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, দিনের পর দিন তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছিল। এখন বাকিদের ধরা গেলে কিছুটা শান্তি হয়তো ফিরে আসবে।