বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী
নিউজ ডেস্ক::রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, রাজ্য বিজেপির কার্যকারিণীর বৈঠকে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি সরাসরি ‘ভাইপো’কে নিশানা করেছেন।
বিজেপির কার্যকারিণীর বৈঠকের পরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, আবাস সহ রাজ্য সরকারের একের পর এক দুর্নীতি সাধারণ মানুষের মধ্য গণরোষ তৈরি করেছে। তৃতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার ২০ মাসের মধ্যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঘে পড়ার অভিযোগও করা হয়েছে বিজেপির তরফে। এছাড়াও রাজ্যে লাভ জেহাদ, শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা, বোমা উদ্ধার, নারী নির্যাতন, মুসলিম মহিলাকে পুড়িয়ে মারার মতো ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, সরকারি কর্মসূচি থেকে কেন্দ্রকে নিশানা করা থেকে প্রমাণ হয় মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজের পুলিশের ওপরেই আস্থা নেই। সাগরদিঘি ও হাসিমারায় রাজ্য সরকারের টাকায় দলীয় সভা করার অভিযোগও করেছেন তিনি।
এদিন সকালে ইডির হাতে গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, শিক্ষা বেচা ডাকাত কুন্তল ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। লাল চুল, কানে দুল যাকে বলে তৃণমূল, সেই যুবা তৃণমূলের নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেপ্তার হয়েছে। বিরোধী দলনেতা বলেন, এই গ্রপ্তার থেকে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, এই ঘটনায় সরাসরি ভাইপো যুক্ত। তিনি বলেছেন, ডাকাতির টাকা ৭৫-২৫ অনুপাতে ভাগ হয়ে ভাইপোর কাছে গিয়েছে।
তিনি বলেছেন, একমাত্র এই ডাকাত কুন্তলদের রাজ্যের বাইরে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, এদের ভাইপোর অফিস থেকে বলে দেওয়া হয়েছে, কি বলতে হবে। তা হলে জেলে অনুব্রত-পার্থর মতো ব্যবহার সেও পাবে।
এদিন আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ভাঙ্গড়ে তাদের ওপরে তৃণমূল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। দুপক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, নওসদ ভাইদের ঠিক করতে হবে পশ্চিমবঙ্গে বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প কে? একই সঙ্গে বিজেপির বিরোধিতা করব আবার তৃণমূলকে উচ্ছেদ করব এটা হতে পারে না। ভাঙড়ের ঘটনায় তিনি উদ্বেগপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিরোধীদের নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষিত হোক।
সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতা হাইকোর্টে নানা ঘটনা ঘটেছে। এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে হাইকোর্টের মধ্যেও তৃণমূলের হার্মাদরা রয়েছে।
বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রী এবং ভাইপোর বিরুদ্ধে রাজ্যের জনসংখ্যার চরিত্রগত পরিবর্তন করার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ এরাই রোহিঙ্গাদের রাজ্য এনে বসাচ্ছে। রাজ্যের নটি জেলার চরিত্রগত পরিবর্তনের অভিযোগ তিনি করেছেন। ভারতীয় মুসলিম বা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা কোনও মন্তব্য করছেন না বলেও স্পষ্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতা এদিন বলেছেন, প্রত্যেক রাজ্যপালের কাজের ধরণ এক হয় না। উনি কাকে সমর্থন করবেন, কাকে করবেন না সেটা তাদের দেখারও দরকার নেই। তারা শুধু চান, জগদীপ ধনকড় যে
রাজ্য সরকারের যে বিতর্কিত ১৯ টি বিলে সই করেননি, সেই বিষয়টি যেন উনি দেখেন। এখনও পর্যন্ত উনি এই বিলগুলিতে সই করেননি বলেই জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এর বাইরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে চান না বলে জানিয়েছেন।