ঝালদা পৌরসভার কাউন্সিলার তপন কান্দু খুনের নয়া মোড়
নিউজ ডেস্ক::পশ্চিমবঙ্গে মাত্র দুটো পৌরসভা বিরোধীদের হাতে – ঝালদা কংগ্রেসের ও তাহেরপুর বামেদের। এখন যত গন্ডগোল ঝালদা নিয়ে। নির্বাচনের ফল বের হবার পরেই খুন হন,কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু। তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। কংগ্রেসকে সমর্থনকারী নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে এবার তলব করল সিবিআই। গতকাল পুরুলিয়ার ঝালদায় সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে তাঁকে জেরা করা হয়। সম্প্রতি শীলা চট্টোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করেই ঝালদা পুরসভায় টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একাধিকবার কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে এই পৌরসভা নিয়ে।
শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসেবে জয়ী হলেও প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। পরে আবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কংগ্রেস ঝালদা পুরসভার পুরবোর্ড গঠনের পর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন পদে বসিয়েছিল। কিন্তু পুর আইন দেখিয়ে তাঁর কাউন্সিলর পর খারিজ করে দেন মহকুমা শাসক। জানানো হয় পুরনির্বাচনের ৬ মাসের মধ্যে পর পর দল বদল করা যায় না। তারপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সন্দীপ সর্দারকে চেয়ারম্যান করে দেওয়া হয়। এই নিয়ে অধীর চৌধুরীর নির্দেশে কংগ্রেস কোর্টে যায়।
আবার কাউন্সিলর পর খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলায় হাইকোর্ট তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয়। এবং ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান পদে পূর্নিমা কান্দুকে বসানোর নির্দেশ দেয়। এই পূর্ণিমা কান্দু ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী। পুরভোটের কয়েকদিনের মধ্যেই খুন হয়েছিলেন তপন কান্দুর। আদালতের নির্দেশে সেই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তপন কাঁদুর খুনের বিষয় নিয়েই আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। শনিবার সেই মামলার তদন্তেই তলব করা হয়েছিল শীলা চট্টোপাধ্যায়কে। ঝালদার অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে হাজিরা দেন তিনি। ঘণ্টাখানেক সেখানে জেরা করা হয়। তবে কেন তাঁকে তলব করা হয়েছিল, তা নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।