তাড়া খেয়ে পালাতে হলো বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে
নিউজ ডেস্ক::বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ প্রকল্প রূপায়ণের জন্য নানা সমস্যা হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন।কিন্তু বিধায়ককে পালাতে হলো ক্ষুব্ধ জনতার রোষে – এমন ঘটনা আগে ঘটে নি। জানা যাচ্ছে,দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক। গ্রামে ঢুকতেই ঘটল বিপত্তি। শেষপর্যন্ত সাধারণ মানুষের তাড়া খেতে হল তাঁকে। কিন্তু কী এমন ঘটনা ঘটল, যাতে বিধায়ককে তাড়া করলেন স্থানীয়রা। অধীর চৌধুরীর জেলায় কেন ক্ষোভের আগুন দেখা গেল তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে। চারিদিকে জনকোলাহল। তারা নিজেদের দাবি জানাচ্ছে বিধায়ককে পেয়ে।
দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার সঙ্গে বচসা বাধে। তারপর ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা তাঁকে তাড়া করেন বলে অভিষোগ। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তেলডুমা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বিধায়কের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি বাধে গ্রামের যুবকদের। যদিও পরে তিনি অভিযোগ করেন,রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন বিকালে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা এসেছিলেন দিদির দূত হয়ে। সেই সময় তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে গ্রামের শতাধিক যুবক তাঁদের দাবি জানাতে থাকেন। বিধায়ক যাচ্ছিলেন সভাস্থলে। কিন্তু তাঁর পথ আটকে বিক্ষোভকারীরা নিজেদের দাবি জানান এবং তা যাতে পূরণ করা হয়, তার সমর্থনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। জনতা অভিযোগ করেন,এতোদিন বিধায়ক কোথায় ছিলেন? শুরু হয় গন্ডগোল। এরপর স্থানীয় যুবককের প্রতিরোধ সরিয়ে নিরাপত্তারক্ষী ও স্থানীয় কর্মীরা বিধায়ককে সভাস্থলে নিয়ে যায়। সেখানেও বিক্ষোভকারীরা গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। বিধায়করে বক্তব্য চলাকালীন বিক্ষোভকারীরা বক্স মাটিতে ফেলে দেন। ঘটনাস্থলে বড়ঞা থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে বিধায়ক বাধ্য হয়ে সভাস্থল ছেড়ে নিরাপত্তারক্ষী বেষ্টিত হয়ে চলে যান।