আদানি ইস্যুতে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ!
নিউজ ডেস্কঃ আদানি ইস্যুতে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি কংগ্রেসের। এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেস কর্মীর রাস্তায় নামেন। সেই কর্মসূচি থেকে মোদী সরকারকে নিশানা করে আক্রমণ শানায় কংগ্রেস। আদানি ইস্যুতে হয় যৌথ সংসদীয় কমিটি, নয় তো সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি তোলা হয় জোরাল ভাবে।
এদিন কংগ্রেস কর্মীরা বিভিন্ন রাজ্য তথা মেট্রো শহরগুলির এলআইসি এবং এসবিআই-এর আঞ্চলিক শাখার সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করেন। অন্যদিকে সংসদের বাইরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে কংগ্রেস সাংসদরা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান। আদানি ইস্যুতে তদন্ত ও আলোচনার দাবি তোলা হয় সব জায়গাতেই। কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু, সব জায়গাতেই বিক্ষোভ চলে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের অভিযোগ নিয়ে তদন্তের দাবি করেন কংগ্রেসের সদস্য সমর্থকরা।
দিল্লিতে কংগ্রেসের ছাত্র শাখা ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভ হয় হায়দরাবাদে এসবিআই-এর অফিসের সামনেও। মহারাষ্ট্রের মুম্বইতে এসবিআই-এর অফিসের সামনে এবং চেন্নাইতে এলআইসির দক্ষিণের জোনাল অফিসের বাইরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে কংগ্রেস।
এদিন সংসদের অধিবেশ শুরু হতেই কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী সাংসদরা লোকসভা ও রাজ্যসভায় আদানি ইস্যুতে আলোচনার দাবির পাশাপাশি তদন্তের দাবিও তোলেন। যার জন্য প্রথমে দুপুর দুটো পর্যন্ত এবং পরে দিনের জন্য অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়। এনিয়ে পরপর তিন দিন সংসদের অধিবেশন আদানি ইস্যু পণ্ড হল।
মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দামে ব্যাপক পতন হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠীর সাতটি সংস্থায় শেয়ারের দাম প্রায় ১০০ কোটি ডলার পড়ে গিয়েছে। যা নিয়েই তদন্তের দাবি করেছে কংগ্রেস। শুধু আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারেই নয় এই মূল্য গ্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলআইসি এবং এসবিআই। কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা দাবি করেছে এই দুই সংস্থায় সাধারণ মানুষের টাকা রয়েছে। যার জেরে এই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গিয়েছে বহু সাধারণ মানুষের বিনিয়োগ করা অর্থও।
কংগ্রেসের অভিযোগ শুধু গৌতম আদানিই নন, তাঁর ভাই বিনোদ আদানি এই কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। বিনোদ আদানি বিদেশে বসে বিভিন্ন শেল কোম্পানির স্টক ম্যানিপুলেশনে জড়িত বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। মোদী সরকারকে নিশানা করে কংগ্রেসের অভিযোগ, শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই নয়, বন্ধুর আর্থিক স্বার্থ বিরোধী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করতে ইডি-সিবিআই-আয়করকে ব্যবহার করা হচ্ছে।