Valentines Day 2023: ভ্যালেন্টাইনস ডে- ইতিহাসের প্রেক্ষাপট
নিউজ ডেস্কঃ রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, “বসন্ত জাগ্রত দ্বারে”। আর মহাকবি কালিদাস ‘ঋতুসংহার’ কাব্যে লিখেছিলেন, ‘বসন্ত প্রিয়ার ঋতু’। সেই ধারাই অব্যাহত রেখে গতকাল থেকে এক সপ্তাহ ধরে চলবে প্রেমদিবস বা ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’র উৎসব।আর ১৪ ফেব্রুয়ারি হলো প্রধান ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’।
এক সপ্তাহ ধরে চলে এই প্রেম দিবস। রোজ ডে দিয়ে শুরু, এরপর প্রোপোজ ডে, চকোলেট ডে, টেডি ডে, প্রমিজ ডে, হাগ ডে, কিস ডে এবং সর্বশেষ হল বহু প্রতীক্ষিত ভ্যালেন্টাইন্স ডে। টানা এক সপ্তাহের প্রেম পর্ব।
সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে। পঞ্চম শতাব্দীর শেষের দিকে পোপ গেলাসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
তৃতীয় শতাব্দীর সময় রোমের বাসিন্দা, পুরোহিত ও চিকিৎসক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগের স্মরণে উদযাপিত হয়েছিল এই দিনটি। যিনি ছিলেন একজন ধর্ম প্রচারকও।
পাশাপাশি তিনি রোমান সৈন্যদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য বিবাহের অনুষ্ঠানও করাতেন। রোমান সম্রাট বিশ্বাস করতেন, অবিবাহিত সৈন্যরা বিবাহিত সৈন্যদের থেকে বেশি কর্মতৎপর। তাই রোমান সম্রাটের নির্দেশে দেশের সৈন্য বাহিনীতে যেমন বিবাহিত পুরুষদের নেওয়া হতো না তেমনি কোনো সৈন্য বিবাহ করতে পারতেন না।
ধর্মযাজক ভ্যালেনটাইন এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। এবং যে সৈন্যরা বিবাহ করতে ইচ্ছুক ছিলেন,তাদের বিবাহ দেওয়া শুরু করেন। এই খবর পেয়ে সম্রাট তাঁকে মৃত্যুদন্ড দেন। তিনি প্রেমের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বলেই তাঁর স্মরণে এই দিনটিকে ‘প্রেম-দিবস’ বা ‘ভ্যালেনটাইন্স ডে’ হিসাবে পালন করা হয়।
ধর্ম-বর্ণ-বয়স ও ভাষাভাষী নির্বিশেষ ‘প্রেম’কে সম্মান জানিয়েছেন। আমাদের ‘বৈষ্ণব পদাবলী’ তো শুধু প্রেমেরই কাব্য। সেখানে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের মধ্য দিয়ে আসলে মানব প্রেমের বার্তাই প্রচার করা হয়েছে। তাই যুদ্ধে উন্মত্ত পৃথিবীর কাছে প্রেম বা ভালোবাসার বাণী নিয়ে আসে এই ভ্যালেন্টাইনস ডে।