গাঁজার প্যাকেটে তাজা গ্রেনেড!
নিউজ ডেস্ক::গাঁজার প্যাকেটে করে তাজা গ্রেনেড রাখা ছিল আদালতে। তার ফলে আদালত চত্বরে হতে পারত বড়সড় বিস্ফোরণ। কোচবিহার আদালত বড়সড় বিস্ফোরণের হাত থেকে রক্ষা পেলন। ওই তাজা গ্রেনেড তড়িঘড়ি নিষ্ক্রিয় করল সেনা। আদালত চত্বরে কী করে তাজা গ্রেনেড এল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আদালতের মালখানায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে পড়ে থাকা গাঁজার বিভিন্ন প্যাকেটে অস্বাভাবিক কিছু রয়েছে বলে নজরে পড়ে। তারপর দেখা যায় সেখানে রয়েছে একটি গ্রেনেড। গাঁজার প্যাকেটের ভিতরে তাজা গ্রেনেজ কী করে তা নিয়ে হুলুস্থুল পড়ে যায়।
গাঁজার প্যাকেটে গ্রেনেড রয়েছে বুঝতে পেরেই সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকে। এদিন বিন্নিগুড়ি থেকে সেনার ১০-১৫ জনের একটি দল এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিষ্ক্রিয় করে গ্রেনেডটি। এতটাই নিখুঁতভাবে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে য়ে আদালতের কোনো ঘরের কোনো ক্ষতি হয়নি।
গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার আগে গোটা চত্বর ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ। তারপর আদালত চত্বরে গ্রেনেড নিষ্ক্রিয়করণ করে সেনা। সাগরদিঘির ওই আদালত চত্বরের পাশে মালখানায় কী করে গ্রেনেডটি এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভিতরেই পুরনো গাঁজার প্যাকেটের মধ্যে বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ প্রশাসন তা জানার পর সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছিল। তিনদিন আগেই তা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। যাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। চূড়ান্ত সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছিল আদালত চত্বরে।
কোচবিহার আদালত চত্বরে ওই মালখানা। সেই মালখানায় বাজেয়াপ্ত গাঁজার প্যাকেট ছিল প্রচুর। সেখানে কী করে এল গ্রেনেড, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কোথা থেকে এই গাঁজার প্যাকেটগুলি উদ্ধার করা হয়েছিল তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।