পঞ্চায়েতের আগে বঙ্গভঙ্গের চক্রান্ত দেখছেন অভিষেক
নিউজ ডেস্কঃ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গভঙ্গ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন। সাফ জানিয়েছেন, কোনও উত্তরবঙ্গ, গৌড়বঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ নয়, একটাই বঙ্গ তা হল- পশ্চিমবঙ্গ। আর অভিষেকের এই বার্তার দিনেই বিজেপি বিধায়ক পৃথক গোর্খ্যাল্যান্ডের দাবি করে বসলেন।
বিজেপির সাংসদ জন বার্লা পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তোলার
পরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন পুরস্কার স্বরূপ। তারপর বিজেপির এক বিধায়ক আনন্দ বর্মনও পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তুলেছিলেন। তারপর দক্ষিণবঙ্গে রাঢ়বঙ্গের দাবিও একাধিকবার তুলেছেন সাংসদ-বিধায়করা।
এছাড়া গোর্খাল্যান্ড হোক বা কামতাপুর বা গ্রেটার কোচবিহার লড়াইয়ে বিজেপি মাঝেমধ্যেই সমর্থন দিয়েছে। ভোট এলেই বঙ্গভঙ্গের দাবি উসকে দিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও সম্প্রতি অনন্ত মহারাজের সঙ্গে বৈঠক করে পৃথক রাজ্যের দাবি উসকে দিয়েছিলেন।
আর এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। তিনি বলেন, যতদিন না রাজ্যভাগ হচ্ছে ততদিন তিনি এই দাবি জানাতেই থাকবেন। বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্যে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার সুযোগ পেয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস।
বিজেপির কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক তো চ্যালেঞ্জ ছুড়েই বলে দেন, যিনি বলেছিলেন পৃথক রাজ্যের দাবি তুললে মুখ ভেঙে দেবেন, তিনি বিধানসভাতেই আছেন। তাঁর সামনেই আমি পৃথক গোর্খল্যান্ডের দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, গোর্খারা জিটিএ চায় না গোর্খারা চায় গোর্খাল্যান্ড।
বিজেপি বিধায়ক বলেন, আমরা বাংলায় থাকতে চাই না। গোর্খা জনজাতি এ রাজ্যের সঙ্গে থাকতে চায় না। পাহাড়ে গোর্খাদের জন্য আমরা পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরছি না। যতদিন না দাবি পূরণ হচ্ছে ততদিন দাবি করতেই থাকব। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন. এটা বিজেপির চক্রান্ত।
বিজেপি অসমে, ত্রিপুরায় বলছে রাজ্যভাগ চাই না, এখানে রাজ্যভাগে সুড়সুড়ি দিচ্ছে। বিজেপির বাংলার ভাগের এই চক্রান্তকে রুখে দিতে হবে। এদিন মাথাভাঙায় সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের কাছে একটাই বঙ্গ, তা হল পশ্চিমবঙ্গ। আর এটা হল বাংলাকে এক মঞ্চে বাঁধার সমাবেশ। পরিবর্তনের সমাবেশ। কোচবিহারের মাটিতে পালাবাদলের সমাবেশ। এই সমাবেশ থেকে তিনি বলেন, দার্জিলিং থেকে দেগঙ্গা, কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ একটাই বাংলা। কোনও উত্তরবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ নয়।