কলকাতার বেলেঘাটায় ৯০ বছরের বৃদ্ধা মায়ের পচাগলা দেহ আটকে মেয়ে!
নিউজ ডেস্ক::গত কয়েকদিন ধরেই দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল বাড়িটি থেকে। প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন। কমা তো দূরের কথা উল্টে বাড়তে শুরু করেছিল দুর্গন্ধ। শেষে বাধ্য হয়েই পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে দেখে ৯০ বছরের এক বৃদ্ধার দেহ আগলে বসে রয়েছেন এক মহিলা।
কয়েক বছর আগে পার্কস্ট্রিটের রবিনসন স্ট্রিটের একটি বাড়িতে এমনই ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে বাবার মৃত্যুর পরেও তার দেহ আগলে রেখেছিলেন তার ছেলে। এবং সেটা বেশ দীর্ঘ সময় ধরে। তাতে দেহের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে অর্ধেক মাংস গলে গিয়েছিল শরীরের। বাবার দেহ বাথরুমে পোড়ানোর চেষ্টা করেছিল ছেলে। এমনই ঘটনা ঘটেছে।
সেরকই ঘটনা ঘটেছে কলকাতার বেলেঘাটায়। সেখানে প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধে টিকতে পারছিলেন না। মা এবং মেয়ে থাকতেন একটি বাড়িতে। মায়ের বয়স প্রায় ৯০ বছর। অসুস্থ ছিলেন তিনি। মাঝে মধ্যে বাইরে দেখা যেত। অবিবাহিত মেয়েকে নিয়েই থাকতেন বৃদ্ধা। প্রতিবেশীদের দাবি মেয়েটি মানসিক ভাবে দুঃস্থ ছিল। অর্থাৎ মেয়েটির মানসিক অবস্থা ঠিক সুস্থ ছিল না। বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বৃদ্ধা। প্রতিবেশীরা খোণজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করতেন। কিন্তু মেয়েটি তেমন কোনও কথা বলতে চাইতেন না।
গত কয়েকদিন ধরে একটা তীব্র পচা গন্ধ তাঁদের বাড়ির কাছ থেকে আসতে শুরু করেছিল। ক্রমশ সেই গন্ধের তীব্রতা বাড়ছিল। সোমবার সকালে প্রতিবেশিনীর মেয়েকে দেখে জানতে চেয়েছিলেন তাঁরা যে কোথায় রয়েছে তাঁদের মা। তখন তিনি জানান যে তাঁর মা মারা গিয়েছে। তারপরেই প্রতিবেশীরা খবর দেন বেলেঘাটা থানায়। পুলিশ গিয়ে দরজা খুলতেই চমকে ওঠেন। দেখেন ৯০ বছরের বৃদ্ধার দেহ পড়ে রয়েছে খাটে। তার থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। পচে গিয়েছে গোটা শরীরে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে মেয়েটিকেও মানসিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।