‘সকলে তাড়াতাড়ি এসে ভোট দিয়ে যান’ – আবেদন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার
নিউজ ডেস্ক : ত্রিপুরায় ৬০ আসনের বিধান সভায় ভোট শুরু হয়েছে সকাল সাতটায়। প্রাথমিকভাবে ভোট নির্বিঘ্নে শুরু হলেও বেলা বাড়তেই কয়েক জায়গা থেকে অশান্তির খবর এসে পৌঁছায়। প্রধান শিবির একদিকে বিজেপি ও অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস। এর মধ্যেই আগরতলায় ভোট দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘‘ভাল লাগছে। আমি সকল ভোটারকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’’ পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন, ‘‘আমি সকালে শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য প্রার্থনা করে ঘর থেকে বেরিয়েছি। দেখছেন মানুষ ভোট দিতে এসেছে। আমি নিশ্চিত যে এখানে বিজেপি আবার সরকার গঠন করবে।’’ যদিও বিরোধীরা একাধিক জায়গায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে।
এবার ত্রিপুরার ভোটের পরিসংখ্যান ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে। নির্বাচন কমিশনের মতে, এবারের নির্বাচনে ২৮.১৪ লক্ষ যোগ্য ভোটার রয়েছে। যার মধ্যে ১৪,১৫,২৩৩ জন পুরুষ এবং ১৩,৯৯,২৮৯ জন মহিলা ভোটার। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৬২ জন।
নির্বাচনী আধিকারিক গত্তি কিরণকুমার দিনাকররাও সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ভোট শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত বড়ো কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা বা ইভিএমে প্রযুক্তিগত ত্রুটির খবর উঠে আসেনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভোটের প্রক্রিয়া চলাকালীন বহিরাগতদের প্রবেশ রুখতে সীমান্ত এলাকাগুলি ঘিরে ফেলা হয়েছে।
এবছর ত্রিপুরা ভোটের রসায়নকে অনেক জটিল করে দিয়েছে তৃণমূল।নির্বাচনে শাসক বিজেপি ৫৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বিজেপির জোটসঙ্গী ইন্ডিজিনিয়াস পিপলস্ ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (আইপিএফটি) প্রার্থী দিয়েছে ছ’টি আসনে। বাম-কংগ্রেসের জোট পার্থী দিয়েছে ৪৭টি এবং ১৩টি আসনে। ত্রিপুরায় ভাগ্য পরীক্ষা করতে নামা তৃণমূল ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। লড়াইয়ের ‘নতুন ঘোড়া’ জনজাতি দল তিপ্রা মথাও প্রার্থী দিয়েছে ৪২টি আসনে। ফলে পরিসংখ্যান বেশ জটিল।
বিজেপির ভাগ্য নির্ধারণ করবে তৃণমূল বাম-কংগ্রেসের কতটা ভোট কাটবে তার উপর। সকালের দিকে শান্তিবাজার এবং পুরনো আগরতলার নাথপাড়া এলাকায় অশান্তি হয়। বিরোধীদের মারধর এবং ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পথ অবরোধ করে প্রতিবাদে শামিল ভোটাররা। তবে অবরোধ পুলিশ সরিয়ে দেয়।