‘সৎ রঞ্জন’কে দীর্ঘ জেরায় সিবিআইয়ের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে বড় সাফল্য সিবিআইয়ের। দফায় দফায় জেরা শেষে শুক্রবার বাগদা’র ‘সৎ-রঞ্জন’ ওরফে চন্দনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। একাধিক প্রশ্নে অসঙ্গতি পাওয়ার পরেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর আদালতে তোলা হলে চারদিনের জন্যে চন্দনকে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই।
আর তা পাওয়ার পরেই শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত চন্দনকে জেরা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আর এই দীর্ঘ জেরায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অশোক সাহা, এসপি সিনহার মতো একাধিক আধিকারিক উপদেষ্টা কমিটিতে ছিলেন। এমন তিন সদস্যের কাছে সরাসরি নিয়োগের সুপারিশ চন্দন পাঠাতেন। এমনকি ১০০ এরও বেশি গ্রুপ সি পদের জন্যে নিয়োগের সুপারিশ চন্দন এই উপদেষ্টা কমিটির কাছে পাঠিয়েছিলেন বলে সিবিআই জানতে পেরেছেন। শুধু তাই নয়, সেই সুপারিশ মেনে চাকরিও হয় বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। ফলে দুর্নীতির জালে আরও জড়িয়ে পড়ছেন উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা।
তবে আর্থিক ভাবেও চন্দন লাভবান হত বলে দাবি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২২ টি অ্যাকাউন্ট সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাতে কয়েক লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে বলেও খবর। এমনকি একাধিক লেনদেনও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিপুল এই টাকার লেনদেন কীভাবে হত? কোনও কোন প্রভাবশালীর কাছে টাকা যেত সেই সমস্ত কিছু এখন সিবিআই খতিয়ে দেখছে বলে খবর। ইতিমধ্যে চন্দনের সঙ্গে ধৃত মিডিলম্যান প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে লিঙ্ক পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
তবে শুধু গ্রুপ সি’তে ১০০ জনের সুপারিশ দিয়েছে তা নয়, সংখ্যাটা অনেক বেশি বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। গ্রুপ ডি, আপার প্রাইমারি, শিক্ষক নিয়োগেও তাঁর হাত রয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। এমনকি এই উপদেষ্টামন্ডলির সদস্যের হাত ধরেই এই নিয়োগ হত বলে দাবি। অন্যদিকে শুধু বাগদাঁতেই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর সাব এজেন্ট ছড়িয়ে ছিল বলে দাবি। উত্তর থেকে দক্ষিণ সব জায়গাতেই তাঁর লোক ছড়ানো ছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের। ইতিমধ্যে দুর্নীতির অন্যতম কিংপিন এই চন্দন বলে দাবি করছে সিবিআই। এমনকি প্রভাবশালী এজেন্ট হিসাবেও চন্দনকে দেখছেন আধিকারিকরা। আর তাঁর পিছনে একাধিক প্রভাবশালী ছিল বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা।