৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সাগরদিঘি উপনির্বাচন! 

0 0
Read Time:3 Minute, 48 Second

নিউজ ডেস্কঃ সামনেই সাগরদিঘি উপ-নির্বাচন। আর সেই নির্বাচন ঘিরে চড়ছে ক্রমশ উত্তেজনার পারদ। আর এই অবস্থায় কোথায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা একেবারে আঁটসাঁট করে সাজাচ্ছে কমিশন। উপ নির্বাচনের আগে আরও ১৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও দুই পর্যবেক্ষক তো থাকছেনই। এই অবস্থায় সুষ্ঠ এবং অবাধ নির্বাচন কি হয় সেদিকেই নজর সবার।

গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে প্রায় ১০০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠায় কমিশন। একেবারে নজিরবিহীন নিরাপত্তায় এই ভোট হয়। এবার উপ নির্বাচনেও নজিরবিহীন নিরাপত্তা কমিশনের। প্রথমে ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়। সেই মতো ধীরে ধীরে বাহিনী আসছেও। শুধু তাই নয়, এরিয়া ডোমিনেশনের কাজও শুরু হয়েছে। আর এর মধ্যেই নিরাপত্তা নিয়ে বড় ঘোষণা কমিশনের। আর সেই ঘোষণা অনুযায়ী আরও ১৩ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে মোট ৩০ কোম্পানি বাহিনী থাকছে।

একেবারে সীমান্ত ঘেঁষা মুর্শিদাবাদ জেলার মধ্যে সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মোট বুথ ২৪৬টি। যার মধ্যে একাধিক স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনীতেই আস্থা কমিশনের। এছাড়াও এই ভোটকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে বিশেষ নজর নির্বাচন কমিশনের। শুধু তাই নয়, শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ করাই লক্ষ্য। আর তাই দুজন বিশেষ পর্যবেক্ষককে পাঠাচ্ছে কমিশন। যার মধ্যে একজন সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং অন্যজন পুলিশ পর্যবেক্ষক বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বাংলায় পর্যবেক্ষকরা ঘুরে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

বলে রাখা প্রয়োজন, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। মুর্শিদাবাদের এই কেন্দ্রটি বরাবরই তৃণমূলের শক্তঘাঁটি। টানা তিন বার এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন সুব্রত সাহা। হঠাত করেই অসুস্থ হন এবং মৃত্যু হয় তাঁর। আর সেই কারণেই ভোট হবে ওই কেন্দ্র। ফলে সকলের নজর থাকছে এই কেন্দ্র। তবে এবার এই কেন্দ্রে লড়াই তিন রাজনৈতিক দলের। একদিকে রয়েছে বিজেপি এবং তৃণমূল। অন্যদিকে ফের একবার দুর্গ ধরে রাখতে মরিয়া কংগ্রেসও। একেবারে মাঠে পড়ে রয়েছেন অধীর চৌধুরী। এছাড়াও প্রচারে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের উপর ভরসা রাখতে চাইছে শীর্ষ নেতৃত্ব।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!