বাগদার চন্দন মন্ডল গ্রেফতারের পরই ক্ষোভ তৃণমূল নেতার
নিউজ ডেস্ক: বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে সৎ রঞ্জন গ্রেফতার হতেই নতুন তথ্য সামনে আসছে। সেই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির বেড়াজাল কীভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল তাও স্পষ্ট হচ্ছে।
বাগদার মামা ভাগ্নে গ্রামের বাসিন্দাচন্দন মণ্ডল। ওই গ্রামের বাসিন্দা অরবিন্দ বিশ্বাসের দাবি করেন, চন্দন মণ্ডলকে তিনি প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। জমি বিক্রি করে ওই টাকা দেন তার মেয়ে এবং পরিবারের পাঁচজনের চাকরির জন্য। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক ও গ্রপ-ডি পদে নিয়োগ পেতে দু’বছর আগে চন্দনকে ৪৪ লক্ষ টাকা দেন। কারও কারও গ্রুপ-ডি পদে চাকরিও হয়েছিল। কিন্তু দু’মাস চাকরি করার পর তাদের ছাঁটাই করা হয়। এরপর টাকা ফেরত চাইলেও চন্দন দেননি বলে অভিযোগ অরবিন্দ বিশ্বাসের।
চন্দনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের মামা ভাগ্নে গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য অনুপ ঘোয। তাঁর দাবি, এলাকার ১০০ জনকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন চন্দন। এমনকী অষ্টম শ্রেণি পাস ছেলেমেয়েকে টাকার বিনিময়ে চাকরি করে দিয়েছেন। সাদা খাতা জমা দিলেও চাকরি দেওয়া হতো বলে অভিযোগ ওই তৃণমূল নেতার। অনুপ ঘোষ বলেন, “এখান থেকে বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে। বিডিও, ওসিদের যাতায়াত ছিল চন্দনের বাড়িতে। যারা দেশের মানুষের সঙ্গে গাদ্দারি করেছে তাদের সাগরে নিয়ে গিয়ে কুমিরের মুখে ফেলে দেওয়া হোক।”