কার্তিক ব্যানার্জির জমি ‘দখলে’ বাধায় কৃষকসভাকে কুর্ণিশ মহঃ সেলিমের

0 0
Read Time:4 Minute, 2 Second

নিউজ ডেস্কঃ মোহন ভাগবতের মাধ্যমে বিজেপি-তৃণমূলের সম্পর্ক। সেই কারণে নারদা-সারদা থেকে শুরু করে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের কেম্পানি নিয়ে কোনও তদন্ত করেনি কেন্দ্র। এদিন বর্ধমানে এমনটাই অভিযোগ করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম। জেলা কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে তিনি এদিন পূর্ব বর্ধমানে। রবিবার পশ্চিম বর্ধমানে দলের কর্মসূচিতে তিনি যোগ দেবেন।

দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মহঃ সেলিম বলেন, আদানি অনের বড় আর লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ছোট। তবে দুটিই অনেক কম সময়ে লাফিয়ে বেড়েছে, কোনও অপারেশন ছাড়াও। লাফিয়ে মুনাফা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এরা ইতিহাস তৈরি করেছে বলেও মন্তব্য করেন সেলিম। তিনি বলেছেন, নয় বছর আগে গৌতম দেব এবং পরবর্তী সময়ে অরুণ জেটলি অর্থমন্ত্রী থাকার সময় তিনি বিষয়টি সংসদে বলেছিলেন। ঘুষের টাকা সরাসরি সেখানে জমা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক। কেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে কেন্দ্র কোনও তদন্ত করল না তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তিনি। সেলিম কটাক্ষ করে বলেছেন মোদীর আদানি রয়েছে, কিন্তু রাজ্যে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার সর্বগ্রাসী। বর্ধমান সদর ব্লকে কৃষকসভা সরকারকে সঙ্গে নিয়ে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমি দখল ঠেকিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ঘুষ নিয়ে, টাকা নিয়ে বাংলার সংস্কৃতিকে নষ্ট করা হচ্ছে এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে উসকে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মহঃ সেলিম। তিনি বলেছেন সবই আরএসএস-এর প্রোজেক্ট। তৃণমূলই শুভাপ্রসন্নের নামে আগে শিল্পী বসিয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। ইডি-সিবিআই-এর ওপরে বিজেপি আর সব থেকে ওপরে আরএসএস রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে কালীঘাটের কাকুর নাম সবাই জানতে পেয়েছেন। সেই ব্যক্তি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থার কর্মী। এব্যাপারে মহঃ সেলিমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলে, কালীঘাটের পিসির নাম কবে আসবে? কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, কাকুর পরে ভাইপো, তারপরে পিসির নাম আসবে। তৃণমূলের মুখোশ সরে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছে তিনি।

সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম বলেছেন, বাম সরকার সময় অধিগ্রহণ করা জমি এখনও ব্যবহার করতে পারেনি তৃণমূল। গত এগারোর বছরের বেশি সময় ধরে পানাগড়, বোলপুরের জমি ফেলে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, শিল্প গড়তে সেই জমি অধিগ্রহণ করা হলেও, সেগুলি এখন তৃণমূলের বন্ধুদের হাতে তুলে দিয়ে সেখানে হোটেল, বার কিংবা রিয়েল এস্টেট তৈরির চেষ্টা চলছে। ডুয়ার্সের জঙ্গল এলাকার জমি নিয়ে ফ্ল্যাট তৈরির তীব্র বিরোধিত করে তিনি বলেন, এটাও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!