নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে!
নিউজ ডেস্কঃ অবশেষে খোঁজ মিলল গোপাল দলপতির! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। নতুন করে বেশ কিছু মোটা টাকার লেনদেনের তথ্যও সিবিআইয়ের হাতে। আর এই বিষয়ে তেদন্ত করতেই গোপালকে তলব করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আর এরপর থেকেই তাঁর খোঁজ নেই বলেই জানা যায়।
এমনকি গোপালের ফোনেও যোগাযোগ নাকি করতে পারেননি সিবিআই আধিকারিকরা। আর এরপরেই লুকআউট নোটিশ জারির ভাবনা চিন্তা শুরু করে তদন্তকারী সংস্থা।
আর এর মধ্যেই সংবাদমাধ্যমের কাছে ধরা দিলেন গোপাল। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে জানিয়েছে, আমি দিল্লিতে আছি। একটি মামলার সূত্রেই তাঁর দিল্লিতে থাকা বলেও ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মাথা। তবে এই বিষয়টি সিবিআইকে নাকি জানিয়ে এসেছেন বলে দাবি। তা যদি জানান তাহলে সিবিআই কেন তাঁর খোঁজ পেল না তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তবে আজ শনিবারই তদন্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ তিনি করবেন বলে জানিয়েছেন গোপাল। তবে সরজমিনে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে আগামী তিন তারিখ লেগে যাবে বলে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছে সে। এই বিষয়টিও সিবিআইকে তিনি জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়েও ওই সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন গোপাল দলপতি। তাঁর দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। এই বিষয়ে সে কিছুই জানে না। এবং তা প্রমাণ করে দেবেন বলেও চাঞ্চল্যকর দাবি গোপাল দলপতির। আর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই তাঁর দাব, ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর নাম দেওয়া হচ্ছে। এমনকি কুন্তলদের কীর্তি আড়াল করতেই হৈমন্তীর নাম ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ওই সাক্ষাৎকারে গোপালের দাবি, মুখোমুখি জেরা করা হয় কুন্তলের সঙ্গে। আর সেই সময়ে কুন্তল সমস্ত কাগজ ছিনিয়ে নেয়। এমনকি ব্যাঙ্কের কাগজও কুন্তল দেখে ফেলে। আর তাতে নমিনি হিসাবে নাম ছিল হৈমন্তী। আর ওই নাম দেখেই কুন্তল হৈমন্তীর নাম বলছে বলে অভিযোগ।
তবে হৈমন্তীর সঙ্গে বিয়ে হলেও দুজনে আলাদা থাকেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন গোপাল। এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে বলেও সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন সে। গোপালের দাবি, ঘটনার পর থেকে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তবে যোগাযোগ হলে অবশ্যই হৈমন্তীকে সামনে আসার জন্যে বললেন বলে দাবি করেছেন স্বামী গোপাল।