হৈমন্তী-অর্পিতার এত মিল! দুজন-দুজনকে কি চিনতেন?
নিউজ ডেস্ক: একজনের দু’টি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল টাকার পাহাড়। অন্যজনের নামের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে প্রচুর টাকার লেনদেন। একজন আপাতত জেলবন্দি, অন্যজন অন্তরালে। প্রথম জন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং দ্বিতীয় জনের নাম বৃহস্পতিবার জানাজানি হয়—তিনি হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এই দু’জনের ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে অনেক।
অর্পিতার উন্নতি হয় মডেলিং থেকে। সেইসঙ্গে বেশ কিছু মিউজিক ভিডিও ও সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। হৈমন্তীরও উত্থান মডেলিং থেকেই। অচেনা উত্তম নামের একটি সিনেমায় নার্সের চরিত্রেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
কেবল তাই নয়। অর্পিতার গ্রেফতারের পর জানা গিয়েছিল, টবিন রোডে তাঁর একটি নেইল আর্টসের পার্লার আছে। পরবর্তীতে দক্ষিণ কলকাতাতেও সেই পার্লারের দু’টি শাখা খুলেছিলেন তিনি। গতকাল জানা গিয়েছে, হৈমন্তীও একটি পার্লার খুলেছিলেন লেকটাউনে। তার নাম লেক ট্রপিকানা। অর্পিতা গ্রেফতার হওয়ার পরেই একের পর এক পার্লারের ঝাপ বন্ধ হয়েছিল বলে জানা যায়। শুক্রবার বিকেলে হৈমন্তীর পার্লার লেক ট্রপিকানারও বন্ধ হয়েগিয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবারও ওই পার্লারের সামনে দেখা গিয়েছিল হৈমন্তীকে।
অর্পিতার বাড়ি বেলঘরিয়ায়। তার বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা। মেয়ের আড়ম্বর জীবন নিয়ে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন সেই বৃদ্ধা। একইরকম হৈমন্তীও হাওড়ার বাকসাড়ার মেয়ে। মেয়ের জীবনযাপন নিয়ে তাঁর মাও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে।
তদন্তকারীদের অনুমান, নিজের গ্ল্যামারকে ব্যবহার করেই রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছিলেন অর্পিতা এবং হৈমন্তী। অর্পিতার সঙ্গে পার্থর ছবি ছয়লাপ হয়ে গিয়েছিল, তেমন হৈমন্তীর সঙ্গেও মদন মিত্র, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সামনে আসে। হৈমন্তীর সঙ্গে অর্পিতার মিল থাকলেও তাঁরা দু’জন দু’জনকে চিনতেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দু’জনের উত্থানের এত মিল ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদেরও।
হৈমন্তীর স্বামী গোপল দলপতি। কয়েক দিন ধরে তাঁরও হদিশ নেই। সিবিআই সূত্রের খবর, গোপালের নামে লুক আউট নোটিস জারি করা হতে পারে। খোঁজ চলছে হৈমন্তীরও।