নওশাদ সিদ্দিকীর জামিন
নিউজ ডেস্ক : অবশেষে দীর্ঘ টাল বাহানার পরে বৃহস্পতিবার নওশাদ সিদ্দিকীর জামিন মঞ্জুর করলো আদালত। জামিন পেলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রেফতারের ৪০ দিনের মাথায় নওশাদের জামিন মঞ্জুর হল। ২১ জানুয়ারি কলকাতায় গন্ডগোল, পুলিশকে আক্রমণ ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে নওশাদকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। কিন্তু একজন বিধায়ককে এতদিন আটকে রাখার পিছনে কোনো জোরালো প্রমাণ পুলিশ দিতে পারে নি।
এদিকে সম্প্রতি বিধানসভার স্পিকার বলেছেন, নওশাদ সিদ্দিকীকে এতদিন জেল হেফাজতে রাখার কোনো কারণ নেই। স্বাভাবিক কারণেই পুলিশের উপর চাপ বেড়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, নওশাদ ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারের যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল সেই মারধরের কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেনি রাজ্য পুলিশ।কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, নওশাদ জামিন পেয়েছেন। কিন্তু তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছিল সেটাই তো প্রশ্নের। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তো একের পর এক আন্দোলন করেছেন। আর তিনিই বিধায়ক নওশাদকে গ্রেফতার করলেন।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পান নওশাদ। নওশাদের জামিনের নির্দেশ সামনে আসতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা। দিনের পর দিন আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা আদালত চত্বরে এতদিন ধরে আসছিলেন। আর এদিনই নওশাদের জামিন মিলল। এদিকে বুধবারও ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জামিন পাননি নওশাদ। শুনানির শেষে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালত।
এদিকে বুধবার শুনানির সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর জামিন মেলেনি। এনিয়ে কিছুটা হলেও হতাশ ছিল আইএসএফ শিবির। এদিকে এর আগে নওশাদ বার বারই আদালত চত্বরে শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। এমনকী পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত তাকে আটকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। এখন উল্লাসে ফেটে পড়েছে তাঁর সমর্থকেরা।