কৌস্তভ বাগচিকে কীভাবে চিনলেন অভিযোগকারী তৃণমূলের সুমিত সিং?

0 0
Read Time:3 Minute, 55 Second

নিউজ ডেস্ক::তৃণমূল কর্মী সুমিত সিং বটতলা থানায় অভিযোগ করেছিলেন। তারপরেই পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। ছুটে গিয়েছে কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচির বাড়িতে। যেখানে কংগ্রেস পুলিশের অতিসক্রিয় বলে অভিযোগ করেছেন। তবে কলকাতা পুলিশের তরপে এব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচির বিরুদ্ধে বটতনা থানায় অভিযোগ করেছেন এলাকার তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত সুমিত সিং। এই যুবক এলাকার নীলমনি স্ট্রিটের বাসিন্দা। এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত। তবে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে জানিয়েছে কৌস্তভ বাগচির সঙ্গে তাঁর পরিচয় নেই। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কৌস্তভ বাগচির করা মন্তব্যে খারাপ লাগার কারণেই বটতলা থানায় নিয়ে মামলা করেন। তবে এই মামলা তিনি অন্য কারও চাপে করেননি বলে দাবি করেছেন ওই যুবক।

সুমিত সিং সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন, রাত ১১ টায় তিনি বটতলা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে শ্লীলতাহানি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেন তিনি। আর কৌস্তভ বাগচি ও তাঁর পরিবারের দাবি অনুযায়ী বটতলা থানার পুলিশ তাঁদের বাড়িতে যায় ভোর তিনটের আগেই।

এদিন কৌস্তভ বাগচিকে বটতলা থানায় আনার আগেই সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। বটতলা থানা এবং ব্যাঙ্কশাল কোর্টে যান কংগ্রেস এবং সিপিআইএ-এর নেতা ও আইনজীবীরা। থানা ও আদালতে কৌস্তভ বাগচির পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে শুভঙ্কর সরকার, সন্তোষ পাঠকের মতো নেতাদের। শুভঙ্কর সরকার কটাক্ষ করে বলেন, যে পুলিশ হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়ির বাইরে পোস্টার দেওয়া অভিযুক্তদের ধরতে পারে না। বোমা বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের ধরতে পারে না, সেই পুলিষ অভিযোগ পাওয়ার চার ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে। বিষয়টি পুলিশের অতিসক্রিয়তা বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

হুমকি ও অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার কৌস্তভ বাগচি। সঙ্গে রয়েছে শ্লীলতাহানি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারাও। তবে পুলিশের ধারা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগকারী তৃণমূলকর্মীর অভিযোগ নিয়েও প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন এক ২৪ বছরের যুবকের শ্লীলতাহানি কীভাবে করলেন কৌস্তভ বাগচি। যেসব ধারায় ৭ বছরের জেল হয়, সেইসব ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন করেন তিনি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!