শীতলকুচিতে নৃশংস খুন তৃণমূল নেত্রীকে!
নিউজ ডেস্ক::সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন! আর সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। কোথাও বোমা উদ্ধার হচ্ছে তো কোথাও গোলাগুলি চলার ঘটনা ঘটছে। আর এরই মধ্যে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে রাজ্যে দুই তৃণমূল নেতাকে খুন। একেবারে প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে খুন করা হয় ওই নেতাকে।
অন্যদিকে কোচবিহারের শীতলকুচিতেও নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে এক তৃণমূল নেত্রীকে। শুধু তাই নয়, ওই তৃণমূল সদস্যর স্বামী এবং মেয়েকে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। দম্পতির আরেক মেয়েকে আশঙ্কাজনক ভাবে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সুত্রে খবর, আজ শুক্রবার সকালে এই ঘটনায়টি ঘটেছে। শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য নীলিমা বর্মন। তাঁর বাড়িতেই এই হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।
একেবারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় ওই সদস্যার স্বামী বিমল কুমার বর্মন এবং দুই মেয়েকে। বিমল কুমার বর্মনও এলাকাতে তৃণমূল নেতা হিসাবেই পরিচিত। এমনকি শীতলকুচির তৃণমূলের এসসি সেলের সভাপতি ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। যদিও ঘটনার সময়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিলে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। যদিও পালানোর সময়ে এলাকার মানুষ জনের হাতে ধরা পড়ে যায় এক দুষ্কৃতীকে। ইতিমধ্যে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
তবে কি কারণে ন্ররশংস এই হত্যা কাণ্ড তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাজনৈতিক ভাবেই খুন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে নদিয়ার হাঁসখালিতে ছোট চুপড়ি বাজারের কাছে তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি গুলি। মৃত ওই তৃণমূল নেতার নাম আহমেদ আলি বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার সকালে এলাকাতে বাজার করতে বের হন ওই তৃণমূল নেতা।
বাজার শেষে স্থানীয় একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। সেই সময়ে একদল যুবক বাইকে করে আসে। স্থানীয়দের দাবি, ওই যুবকরা প্রথমে ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গে কথা বলেন। পরে বেশ জোরে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় বলেও জানা গিয়েছে। এরপরেই ওই যুবক তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই পালানোর চেষ্টা করে আহমেদ আলি। সেই সময়ে আরও বেশ কয়েকটি গুলি মৃত্যু নিশ্চিত করতে করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। কীভাবে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে একই দিনে বাংলার দুই প্রান্তে একের পর এক তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা।