লেনিনের মূর্তি ভাঙচুর নকশালবাড়িতে!
নিউজ ডেস্ক::রাতের অন্ধকারে ভেঙে দেওয়া হল লেলিনের মূর্তি! শিলিগুড়ি মহুকমার নকশালবাড়ির বেঙ্গাইজোতে নকশালবাড়ি আন্দোলনের শহীদ বেদীটি খুবই ঐতিহ্যপূর্ণ! আর সেখানেই রাতের অন্ধকারে দুস্কৃতি হানা হয়। লেলিনের আবক্ষ মূর্তিটি অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়।
বুধবার সকালে নকশালবাড়ি আন্দোলনের শহীদ বেদীতে লেলিনের আবক্ষ মূর্তিতে ভাঙচুর দেখতে পান স্থানীয়রা। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
দীর্ঘদিন ধরে থাকা ওই মূর্তিটি ভাঙচুর চালানো হয়েছে তা জানার পরেই ভিড় জমান স্থানীয়রা। আসেন স্থানীয় বাম শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনকি ভিড়ফ জমান কর্মীরা। ঘটনার খবর পেয়ে নকশালবাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে লেলিনের মূর্তিতে ভাঙচুর করা হলেও অন্যান্য কোনও মূর্তিতেই ভাঙচুর করা হয়নি। ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি করছেন সিপিআইএমএলের কর্মী সমর্থকরা। তবে এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও ওই মূর্তি ভাঙচুর চালানো হয়। বারবার একই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাম নেতৃত্ব।
এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই অভিযোগে আঙুল বামেদের। আর তা বলতে গিয়ে ত্রিপুরার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন স্থানীয় বাম নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরেই লেনিনের মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়। তেমন ভাবেই নকশালবাড়ি আন্দোলনের স্মারক স্তম্ভটি সেখান থেকে সরিয়ে দিতেই এমন ভাঙচুর বলে অভিযোগ বামেদের। শুধু তাই নয়, ওই এলাকাতে আরএসের একটা প্রভাব রয়েছে। তাঁরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এটা কখনও বিক্ষিপ্ত ঘটনহা ঘটতে পারে না বলেও দাবি বাম নেতা-কর্মীদের। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বর্ষীয়ান বাম নেতা জীবেশ সরকারও।
যদিও বামেদের এহেন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, তদন্ত করে দেখা উচিত কে এই মূর্তি ভেঙেছে। তবে বিজেপি কখনই এহেন কাজ করে না বলেও দাবি বিজেপি নেতার। তবে স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, নকশালবাড়ির বেঙ্গাইজোতে নকশালবাড়ি আন্দোলনের শহীদ বেদীটি দীর্ঘদিন অবহেলাতে পড়ে রয়েছে। ওখানে কেউ আর যান না। ফলে কীভাবে এই ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিৎ বলে জানিয়েছে বিজেপি।
বলে রাখা প্রয়োজন, নকশালবাড়ির ওই এলাকাতে কার্ল মার্কস, ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস, ভ্লাদিমির লেনিন, জোসেফ স্তালিন, মাও সেতুংয়ের মূর্তি রয়েছে। ইতিহাসে এই এলাকার একটা গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষ করে ওই শহিদবেদির একটা ঐতিহ্য আছে। আর সেখানে শুধুমাত্র লেনিনের মুখ উপড়ে দেওয়া হল কেন? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। তবে অন্যান্য মূর্তিগুলি ঠিক আছে বলেই জানা গিয়েছে।