আজ (মঙ্গলবার) বনিকে আবার যেতে হচ্ছে ইডির দপ্তরে
নিউজ ডেস্ক::এই মুহূর্তে শান্তনু-কুন্তল-বনি সংবাদের জগতে ‘হট কেকের’ মতো বিলি হচ্ছে। ইতিমধ্যে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে দু’বার ইডি জেরা করেছে ইডি। আজ আবার ডাকা হয়েছে। আগে বনিকে দু’দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তখন বনি সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, ২০১৭ সালে কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরেই তাঁদের মধ্যে ছবি তৈরি নিয়ে কথা হয়। কুন্তলের প্রযোজনায় অভিনয়ের জন্য নগদে কোনও অগ্রিম নেননি। তাই কুন্তল তাঁকে একটি বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের ব্যাঙ্কের নথি ঘেঁটে বনির নাম জানতে পারেন ইডির অফিসাররা।এদিকে বনির মা পিয়া সেনগুপ্ত টলিউডের অত্যন্ত প্রভাবশালী মানুষ। সেই দিকেও ইডির নজর আছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তর এখন অনেকের কাছেই দৈনন্দিন বেড়ানোর জায়গা হয়ে গেছে। আজ, মঙ্গলবার আবার বনিকে নতুন করে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সূত্রের খবর, কুন্তল যে টাকা দিয়ে বনিকে গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন, অভিনেতা সেই টাকা ইডিকে ফেরত দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। বনি আগেই জানান, কুন্তলের থেকে টাকা নিয়ে তিনি গাড়ি কিনেছেন। বিনিময়ে নানা শো করেছেন। এবার সেই গাড়ি কেনার নথি নিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বনিকে। যদিও বনি জানিয়েছিলেন, লিখিত কোনো এগ্রিমেন্ট কুন্তল এর সঙ্গে বনির হয় নি। সন্দেহের জায়গা এটাই। শুধু মুখের কথার ভিত্তিতে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে দেওয়া – এই বিষয়টাকে ইডি সহজ করে নিচ্ছে না।
বনি সেনগুপ্ত বুঝে গেছেন, তিনি ফেঁসে গেছেন। তাই তিনি ওই ৪০ লক্ষ টাকা ফেরৎ দিতে চেয়েছেন বলে খবর। যদিও এই বিষয়ে ইডির পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে বনি সেনগুপ্ত সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘এখনই এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। দুঃখিত।’ অভিনেতা আরও জানান, কুন্তল একবারই টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকায় গাড়ি কিনেছিলেন তিনি। টাকার পরিমাণ প্রায় ৪০ লাখের মতো। যদিও সেই গাড়ি তিনি পাঁচ বছর আগেই বেঁচে দেন। কুন্তল একটি স্টুডিয়ো তৈরির পরিকল্পনাও করেছিলেন। সেই সম্পর্কেও বনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আজ হয়তো আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। শেষ পর্যন্ত তদন্তকারী সংস্থা কী সিদ্ধান্ত নেয় তা দেখার অপেক্ষায় নেট দুনিয়া।