মমতা ও অখিলেশ বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমদূরত্বে থাকতে চাইছেন
নিউজ ডেস্ক::১৭ মার্চ শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠাসা কর্মসূচি। তারই ফাঁকে আখিলেসের সঙ্গে মমতার মত বিনিময় হয়। আজ কলকাতায় এসেই বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমদূরত্বের কথা বলেন, অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, “বাংলায় আমরা মমতা দিদির সঙ্গেই আছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রাখা। বিজেপি ভ্যাকসিন যারা পেয়েছেন, তাদের পিছনে ইডি-সিবিআই নেই।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই নীতি এনে একই সঙ্গে জাতীয় রাজনীতিতে দুটি শত্রু বানিয়ে ফেলতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। সে যাই হোক,এই মুহূর্তে বিজেপি বিরোধী দ্বিতীয় ফ্রন্টের সঙ্গে সম দূরত্ব রাখতে চায় অখিলেশ ও মমতা।
এই দুই নেতৃত্ব মনে করেন, রাহুলের নেতৃত্বে যদি কোনো বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট হয়,তা সফল হবে না। কংগ্রেসকে ছাড়াই বিরোধী জোটের উদ্যোগ। কংগ্রেস ও বিজেপিকে সমদূরত্ব রাখবে দলগুলি। এদিন কলকাতায় এসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। আগামী সপ্তাহে বিজেডির প্রধান ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মার্চের শেষে সংসদ অধিবেশনের আগে দিল্লি যাবেন তৃণমূল নেত্রী। তখন তাঁর সাথে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি রাহুল গান্ধীকে ব্যবহার করে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে চাইছে। বিরোধী জোটের নেতা হিসেবে রাহুল গান্ধীকে মানতে চান না বিরোধীরাও। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট গড়ে তোলা মুশকিল বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। তবে মমতা ও অখিলেশ এই জোটকে তৃতীয় ফ্রন্ট বলতে চাইছে না। তাঁদের বক্তব্য আঞ্চলিক দলগুলো যে যেখানে শক্তিশালী তারা সেখানে বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সম দূরত্ব বজায় রেখে চলবে।