জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করল পুলিশ
নিউজ ডেস্ক : আসানসোল কম্বল-কাণ্ডে নয়া মোড়। দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হল আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। গত বছর আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনাতেই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার বলে জানা যাচ্ছে। সম্ভবত আজ শনিবার রাতেই তাঁকে রাজ্যে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে প্রতিহিংসা বলে ব্যাখ্যা করছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।
জানা গিয়েছে, কম্বল কাণ্ডে আসানসোল কমিশনারেট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। সেখানে একদিকে যেমন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম রয়েছে। তেমনই নাম রয়েছে স্ত্রী চৈতালিরও। অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়। জানা যাচ্ছে, স্ত্রীকে নিয়ে সম্ভবত আগ্রা যাচ্ছিলেন জিতেন্দ্র।
সেই সময়ে যমুনা এক্সপ্রেস থেকে রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এই মামলায় আগাম জামিন চেয়েই সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি থাকলেও হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। যদিও এর আগে আগাম জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আসানসোলের এই বিজেপি নেতা। আর এরপরেই গ্রেফতার!
তাহলে কি সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি অবস্থাতেই দিল্লি গিয়েছিল রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা? উঠছে প্রশ্ন।
তবে এর আগে একাধিকবার আসানসোল পুলিশের তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী পিয়ালি। ঘন্টার পর ঘণ্টা তাঁকে জেরা করা হয়েছে। এরপরেই গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও এই ঘটনাকে প্রতিহিংসা হিসাবেই দেখছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা গ্রেফতারের মতো ঘটনা নয় বলেও দাবি বিজেপি নেতার।
যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতার দাবি, বিজেপির এই কাজের জন্যে তিনজনের প্রাণ চলে গেল। এটা বড় অন্যায়। কড়া শাস্তির দাবি শাসকদলের। বলে রাখা প্রয়োজন, গত বছর ডিসেম্বর মাসে আসানসোলে একটি কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক শীর্ষ নেতারা।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই অনুষ্ঠান থেকে শুভেন্দু অধিকারী বেরিয়ে যেতেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর তাতে পদপৃষ্ট হয়ে একটি বাচ্চা সহ দুজনের মৃত্যু হয়। যদিও ঘটনার সময়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি ছিলেন না বলেই দাবি করা হয়েছে।