শান্তনুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক স্থানীয় মানুষজন

0 0
Read Time:3 Minute, 50 Second

নিউজ ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতিতে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তুনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পর থেকেই একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে আসছে! সামনে আসছে একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, ধাবা সহ গেস্ট হাউসের খবর। শুধু তাই নয়, নির্বাচনেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ সামনে এসেছে।

আর এর মধ্যেই সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর এক অভিযোগ। স্থানীয় এক বাসিন্দার দাবি, গঙ্গার পাশে থাকা জমি নিতে তাঁর মাথায় বন্দুক পর্যন্ত ধরায় শান্তনুর অনুগামীরা।

নিয়োগ দুর্নীতিতে শান্তনু গ্রেফতার হতেই বলাগড়ে বিশাল একটি গেস্ট হাউসের খোঁজ সামনে আসে। একেবারে কয়েক বিঘা জমির উপর তৈরি ‘ইচ্ছা ডানা’ এই গেস্ট হাউস। যা কিনা একেবারে গঙ্গার ধারে তৈরি করা হয়। রিসর্টের ভেতরে রয়েছে সুইমিং পুল। এমনকি সেখানে গঙ্গায় নামার জন্যে ব্যক্তিগত সিঁড়িও রয়েছে বলে জানা যায়। পুরো বিলাসবহুল রিসর্টটি সিসিটিভিতে ঘেরা। অন্তত ৭ থেকে আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে সেখানে। এমনকি গেস্ট হাউসটিকে ঘিরে রয়েছে অন্তত সাত ফুটেরও বেশি উঁচু পাঁচিল। ফলে ভিতরে কি হচ্ছে তা জানা কারোর পক্ষে সম্ভব ছিল না।

আর সেই গেস্ট হাউসের একাংশের জমি জোর করে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় এক বাসিন্দা সাগর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, শান্তনুর জন্যে আমাকে জেল খাটতে পর্যন্ত হয়েছে। আমি অন্য একজনকে এই জমি বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে বিক্রি করতে না পারায় আমাকে ভিন রাজ্যে এক মাস জেলে খাটতে হয়েছে বলে দাবি ওই ব্যক্তির। শুধু তাই নয়, গঙ্গার কাছে থাকা ওই জমি নিতে শান্তনুর অনুগামীরা মাথায় বন্দুক পর্যন্ত ঠেকায় বলে দাবি তাঁর। এমনকি মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। আর সেই জমি ফিরে পেতে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সহায়!! সাংবাদিকদের মাধ্যমে এই বিষয়ে প্রশাসনিক প্রধানের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।

বলে রাখা প্রয়োজন, আজ শনিবার সকাল থেকে শান্তনুর একাধিক সম্পত্তিতে এই মুহূর্তে তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। নতুন করে বেশ কিছু সম্পত্তির খোঁজ পাওয়ার পরেই চলে এই তল্লাশি। একই সঙ্গে ইচ্ছা ডানা ওই গেস্ট হাউসেও তল্লাশি চালানো হয় এদিন। একেবারে তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে আরও এক তৃণমূল নেতা কুন্তলের সঙ্গে শান্তনুর স্ত্রীয়ের একটি সংস্থার খোঁজ পেয়েছেন আধিকারিকরা। সেই বিষয়েও খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন আধিকারিকরা। সেখানেও নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ঢুকেছে বলে মনে করছেনব আধিকারিকরা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!