H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা: লড়াইয়ে ভরসা ভ্যাকসিন!
নিউজ ডেস্ক : এই মুহূর্তে দেশে করোনা পরিস্থিতির পাশাপাশি H3N2 ভাইরাস বেশি রকমের সক্রিয়। অনেক জায়গা থেকেই মৃত্যুর খবর এসেছে কিংবা আসছে। শিশু ও বয়স্ক মানুষের এর শিকার হচ্ছেন। সেই পরিস্থিতি H3N2 ভাইরাসের মোকাবিলায় কাজ শুরু করেছে ভারতীয় সংস্থা। যারা এর আগে করোনা মোকাবিলায় মেড ইন ইন্ডিয়া ভ্যাকসিন তৈরি করেছে।
H3N2 ভাইরাস মোকাবিলায় ভ্যাকসিন ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করেছে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক সংস্থা। ভ্যাকসিন তৈরির কাজে যে সংস্থা এগিয়েছে সেব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন এই সংস্থার কর্ণধার কৃষ্ণা এলা। একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, তিনি একজন বিজ্ঞানী। তারা H3N2 ভাইরাস মোকাবিলায় ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছেন। তিনি মনে করেন, পরবর্তী সময়ে এটি ফ্লু আকারে আসবে। মানুষ ছাড়াও, শুয়োর ও মুরগির মধ্যেও এটি ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে কোভিডের ভ্যাকসিন কোনওভাবেই H3N2 থেকে রক্ষা করতে পারবে না। কারণ একে অপরের থেকে আলাদা। দুটি ভাইরাসের প্রকৃতি ও ফ্রিকোয়েন্সি বিভিন্ন। তাই যাঁরা কোভিডের ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদেরকে কোনওভাবেই H3N2 থেকে রক্ষা করা যাবে না।
হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক এর আগে করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। করোনা মোকাবিলায় তাদের তৈরি প্রথম ভ্যাকসিন হল কোভ্যাকসিন। এরপর তারা ইনকোভ্যাক নামে ইন্ট্রানাসাল ভ্যাকসিনও তৈরি করে।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে H3N2 সংক্রমণের খবর এসেছে। অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সবার মধ্যেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে মারাত্মক প্রভাব দেখা দিচ্ছে। আইসিএমআর-এর তরফে জানানো হয়েছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ সাবটাইপ H3N2-এর কারণে বর্তমানে দেশ জুড়েই অন্যরকমের পরিস্থিতি। এক্ষেত্রে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির হার বেশি।
অন্য ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো এক্ষেত্রেও লক্ষণ হল জ্বর, সর্দি, কাশি। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গা ব্যথা, মাথা ব্যথার ক্লান্তি অনুভূত হওয়া H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম। কারও কারও এর সঙ্গে বমি কিংবা ডায়ারিয়াও হতে পারে। H3N2-এর সংক্রমণ হলে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হয়। তবে জ্বর হলে চিকিৎসকের সঙ্গে সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।এই ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধ করতে বেশ কিথু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সাবান ও জল দিয়ে হাত ধুতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িতে চলতে হবে। হাঁচি কিংবা কাশির সময় মুখ ও নাক ঢেকে রাখতে হবে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।