“এক বছরের মধ্যে বিশ্বের সব থেকে সুন্দর শহর অযোধ্যা”: যোগী আদিত্যনাথ
নিউজ ডেস্ক : অযোধ্যায় উন্নয়ন যজ্ঞের পর্যালোচনা করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অযোধ্যা সফর কালে তিনি নির্মাণ কাজ চলা বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন। অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণ ছাড়াও রাম পথ, ধর্ম পথ এবং ভক্তি পথ তৈরি করা হচ্ছে, যা জাতীয় সড়কের সঙ্গে রাম জন্মভূমিকে যুক্ত করবে।
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ছয় বছর পূর্ণ করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে একটানা কার্যকালে তিনিই প্রথম। ২০১৭-র ১৯ মার্চ যোগী আদিত্যনাথ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। মন্দির তৈরির সঙ্গে যুক্ত ট্রাস্টি ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলার পরে জানা গিয়েছে, মন্দির নির্মানের কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে।
যোদী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, বর্তমানে অযোধ্যায় সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে। আগামী একবছরের মধ্যে এই প্রকল্পগুলির কাজ শেষ হলে বিশ্বের সব থেকে সুন্দর শহর হবে অযোধ্যা, বলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জুলাই মাসের মধ্যে বিমানবন্দর তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর লাইসেন্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সেখানে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট যাতায়াত শুরু করবে।
যোদী আদিত্যনাথ প্রথমে হনুমানগড়ি মন্দিরে প্রার্থনা করেন। তিনি সেখানে ভগবান রামের দর্শনও করেন। সেখানে তিনি আরতি ও পরিক্রমাও করেন। শ্রীরামের বিশাল মন্দির নির্মাণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে কাজ চলেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এই সফরে রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাইয়ের সঙ্গে রাম মন্দির তৈরির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি তিনি দর্শণার্থীদের সুবিধা নিয়েও তথ্য সংগ্রহ করেন বলে জানা গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী অযোধ্যা সফরে প্রকল্পের কাজের মান বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রকল্পের কাজ সময়মতো শেষ করতে জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি তিন শিফটে কাজ করার কথাও বলেছেন। কেননা বৃষ্টির কারণে যদি কাজ তিম মাস বন্ধও থাকে, তা হলেও সময় মতো কাজ শেষ করা যাবে বলে মনে করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তিনি অনেক কাজ দেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাঁর নির্দেশনায় কাজ সময়মতো শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী।
অযোধ্যায় উন্নয়নের কাজ করতে গিয়ে বাস্তুচ্যুত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং স্থানীয় এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্য পরিশ্রুত পাণীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।