“চিরদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। মমতার অবস্থা হবে সজ্জন কুমার-ওমপ্রকাশ চৌতালার মতো”: শুভেন্দু
নিউজ ডেস্ক : চিরদিন আপনি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বাংলা প্রবাদ একযাত্রায় পৃথক ফল হয় না-র কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফল ভুগতে হবেই।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, এখানে সরকারের পরিবর্তন হবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিরদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। বিরোধী দলনেতা ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে পুরসভাগুলিতে তৃণমূল ক্যাডারদের চাকরি প্রাপ্তির অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, যেখানকার মার্কশিট জমা দিয়ে এইসব চাকরি হয়েছে, সেগুলো সেইসব জায়গায় ফেরত পাঠিয়ে দিলে, ৫০ শতাংশ জাল বেরোবে। শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচার-আচরণ এবং ভাইপোকে সঙ্গে নিয়ে যা করছেন, তার ফল ভুগতে হবেই। তিনি আরও বলেন, টাইম ইজ নকিং দ্য ডোর।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, একটা সময় দিল্লির বড় কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার শিখ দাঙ্গার পরে ভেবেছিলেন বাড়িতেই থাকব। কিন্তু তিনি এখন জেলে রয়েছেন। হরিয়ানার ওমপ্রকাশ চৌতালা বেআইনি শিক্ষক নিয়োগের পরে ভেবেছিলেন, তাঁর পরিবারই হরিয়ানা চালাবে (বাবা দেবী লাল ছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী, তিনিও ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, ছেলে অজয় চৌতালাও ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী)। তিনিও এখন তিহারে রয়েছেন।
বিরোধী দলনেতা বলেন, ২০১৯-এ গঙ্গাসাগরে পদপিষ্ট হয়ে ৫ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়। ২০২২-এ পানিহাটিতে কয়েকজন কৃষ্ণভক্তের মৃত্যু হয়। কলকাতায় দু’হাজার আসন বিশিষ্ট হলে ৮ হাজার লোক ঢুকিয়ে কেকে-কে মেরে ফেলে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের ছেলেরা। তিনি বলেন এগুলোও রেকর্ডে থাকছে। তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তন হলে একযাত্রায় পৃথক ফল হয় না। তিনি বলেন, জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে যা করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর পদ গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আইনের আশ্রয়েই আসতে হবে। জিতেন্দ্র তিওয়ারির গ্রেফতারকে ভুয়ো বলেও দাবি করেন তিনি।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন আসানসোলের কম্বল কাণ্ডের পরে তাঁকে জেলে পুরতে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত গিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাঁকে (শুভেন্দু) জেলে পুরতে আর ডিএ আটকাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সুপ্রিম কোর্ট আর হাইকোর্টে বড় বড় আইনজীবীদের পিছনে ২ বছরে ২০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। তিনি বলেন, তাঁর (শুভেন্দু) বিরুদ্ধে করা স্পেশাল লিভ পিটিশন প্রত্যেকবারই সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে হাইকোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছে।