বগটুই হত্যাকাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি!
নিউজ ডেস্ক : বগটুই হত্যাকাণ্ডের বর্ষপূর্তি নিয়ে তুমুল দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছে। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস অন্যদিকে বিজেপি-বামেরা। এদিকে সকাল থেকেই মঞ্চ তৈরি করে সেখানে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢুকতে দেওয়া হল না বগটুই হত্যাকাণ্ডে নিহত যুবকের বাড়িতে।
আজ বীরভূমের সেই বগটুই হত্যাকাণ্ডের অভিশপ্ত দিন। তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি কাজল শেখের হত্যাকাণ্ডের পরের দিন নির্মম ভাবে তাঁর অনুগামীরা এই বগটুইয়ে হত্যাকাণ্ড। গ্রামের সবকটি বাড়ি পু়ড়িয়ে দেওয়া হয়। তার মধ্যে পুড়িয়ে মারা হয় ৯ জনকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ কেউ বাঁচতে পারেননি। সকলেই ঘরের মধ্যে পুড়ে মারা গিয়েছিল। গোটা রাজ্য চমকে উঠেছিল এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে। পুরসভা ভোটের পরেই একের পর এক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।
বগটুইয়ে হত্যাকাণ্ডের এক বছর পূর্তি আজ। কিন্তু আজকের সঙ্গে সেদিনের বগটুইয়ের কোনও মিল নেই। এমনকী গোটা বীরভূমের গোটা ছবিটাই বদলে গিয়েছে। এখন আর বীরভূমের কেষ্টর দাপট নেই। বীরভূম কেন রাজ্য ছেড়ে গিয়েছেন তিনি। দিল্লিতে নিয়ে িগয়েছে ইডি। কেষ্টহীন বীরভূমে অনেকটাই দুর্বল তৃণমূল কংগ্রেস। বগটুই মানুষের মধ্যে ক্ষোভ এখনও দানা বেঁধে রয়েছে। বগটুই হত্যাকাণ্ডে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান নিয়ে এবার রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছে। বাম-বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেস আলাদা করে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠীনের আয়োজন করছে।
বগটুই হত্যাকাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে স্বজনহারাতের বাড়িতে যেতে চেয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু সেখানে যেতে তাকে বাধা দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। বগটুই হত্যাকাণ্ডে নিহত বনিরুল শেখের আত্মীয়। তাঁর বাড়িতে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে বগটুইয়ে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এখনও অপরাধীরা শাস্তি পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন বগটুই হত্যাকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্তরা।
এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে বগটুইটে শহিদ বেদি তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে আজ বিকেলে সেখানে যাবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির পক্ষ থেকে বগটুইয়ে আলাদা করে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে মালা দিয়ে শহিদ স্মরণ করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তার উল্টো দিতে আবার শহিদ বেদি তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আবার বিকেেল বামেরা হত্যাকাণ্ডের বিরোধিতায় মৌন মিছিল করবে। এবার কোন রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে শহিদদের পরিবার যাবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি।