Job Scam : চাকরি বিক্রি করেই ১০০ কোটি, বিস্ফোরক ইডি!
নিউজ ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে! আর এর মধ্যেই মানিক ভট্টাচার্যের জামিন মামলার শুনানিতে বিস্ফোরক এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় আদালতে। আর মামলার শুনানিতেই বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। একের পর এক টেট পরীক্ষাতে কীভাবে টাকা তোলা হয়েছে তা ব্যাখ্যা করেন আইনজীবীরা। এমনকি পরিবার কীভাবে ষড়যন্ত্রে জড়িত তাও এদিন আইনজীবী মারফৎ আদালতকে জানান তদন্তকারী সংস্থা।
মামলার শুনানিতে আইনজীবী মারফৎ বিস্ফোরক অভিযোগ করে ইডি। তাঁদের দাবি, ২০১২ সালের টেট এবং ১৪ সালের টেট পরীক্ষায় চাকরি বিক্রি করে প্রায় ১০০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। এর বড় একটা অংশ মানিকের কাছে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে। অন্যদিকে মানিকের গোটা পরিবার একাধিকবার বিদেশ ট্যুর করেছে। বিশ্বের একাধিক দেশে গিয়েছে গোটা পরিবার। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ব্যাঙ্ক থেকে কোনও টাকাই তোলা হয়নি বলে এদিন দাবি করে ইডি। এই সংক্রান্ত কোনও লেনদেন নেই বলেও দাবি করা হয়েছে।
জামিন মামলাতে ফের একবার প্রভাবশালী তত্ত্ব তুলে ধরেন এদিন ইডির আইনজীবীরা। তাঁদের দাবি, মানিক ভট্টাচার্য একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। আর সেই কারণে এখনই পর্যন্ত শাসকদলের একজন বিধায়ক পদে রয়েছেন বলে এদিন দাবি করে ইডি। এক্ষেত্রে জামিন দেওয়া হলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার কথাও বলা হয় ইডির তরফে। যদিও জামিনের স্বপক্ষে এদিন বেশ কয়েকটি পালটা তথ্য তুলে ধরেন মানিকের আইনজীবীরা। দীর্ঘ শুনানি চলে।
আর তা শেষের মুখে কিছু কথা বলতে চান মানিক ভট্টাচার্য। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে থামিয়ে দেন বিচারক। বলেন, আপনি তো একজন আইনের কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। জানেন না আইনজীবী থাকলে নিজে থেকে কিছু বলা যায় না। এরপর মানিক বলেন, আমি আর্টিক্যাল ২১ ধারা অনুযায়ী কিছু বলতে চাই। বিচারক ফের একবার তাঁকে থামিয়ে দেন। বলেন, বলতে হলে হাইকোর্টে যেতে হবে আপনাকে। কার্যত না থেমেই মানিক বলতে থাকেন। বলেন ইডি আমাকে ৫০০০ পাতার…… শেষ হওয়ার আগেই ধমক বিচারকের।
অন্যদিকে ৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে। এমনটাই দাবি ইডির। এছাড়াও সোনা ও অলঙ্কার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য পাঁচ কোটি টাকারও বেশি বলে এদিন দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এছাড়াও আরও ৪৮ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি রয়েছে বলেও দাবি। ফলে সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত করা অর্থ ও সম্পত্তির মোট মূল্য ১১১ কোটি টাকা বলে দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।