তৃণমূলকে হারাতে বামেদের কী বার্তা দিতে চাইলেন শুভেন্দু
নিউজ ডেস্ক::বাংলার রাজনীতিতে কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে বলে বারবার বলে থাকেন তৃণমূল নেতারা। এবার বিরোধী দলনেতা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর মুখেও শোনা গেল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সেই একই অভিযোগ। কংগ্রেসকে অপ্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যায় তিনি বামেদের উদ্দেশ্য করে বিশেষ বার্তা দিতে চাইলেন।
মতপার্থক্য থাকলেও তৃণমূল বিরোধিতায় যে বামেদের বার্তা তিনি দিতে চাইলেন তা স্পষ্ট। শুভেন্দু অধিকারী আগেও বামেদের উদ্দেশ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এক যোগে আন্দোলনের বার্তা দিয়েছিলেন। এদিন আবার ঘুরিয়ে তিনি বার্তা দিলেন মোদী ও মমতার একসঙ্গে বিরোধিতা করা ঠিক হবে না। অর্থাৎ মোদী নয়, মমতার বিরোধিতা করুন একযোগে, এই বার্তাই বামেদের দিতে চাইলেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর সাফ কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে গেলে লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে। নো ভোট টু মমতা আওয়াজ তুলতে হবে। তিনি এই মর্মে ২০১১ সালের উদাহারণও দেন। বলেন, সেইসময় ‘নো ভোট টু বামফ্রন্ট আওয়াজেই বিরোধী ভোট এক জায়গায় এসেছিল। অর্থাৎ অ্যান্টি বাম ভোটের ফায়দা তুলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছিলেন।
শুভেন্দু এদিন বামেদের সমর্থনে একাধিক কথা বলেন। বলেন, বিমান বসুর গায়েও কালি লাগানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। বামেরা টাকা নিয়ে চাকরি দেয়নি। কিছু ক্ষেত্রে দলবাজি করেছে। আর সুজন চক্রবর্তীর পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, সুজনবাবুর স্ত্রীর হাতে লেখা জয়েনিং লেটার দিয়ে তৃণমূল কিছু প্রমাণ করতে পারবে না।
সিপিএমের সমর্থনে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে দুটো কারণে বিজেপিকে মানুষ আনবে। এক, ডবল ইঞ্জিন সরকার ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ কখনওই আগের জায়গায় ফিরে আসতে পারবে না। সেই ডবল ইঞ্জিন সরকার পেতে হলে মোদীজির আশীর্বাদ দরকার। আর তৃণমূলকে হারাতে কাকে ভোট দেওয়া দরকার, সেটা ভেবেই তারা ভোট দেবে।
শুভেন্দুর বামেদের সঙ্গে জোট পরিকল্পনার সমীকরণ হল, তৃণমূলের বিরোধিতা করো একসঙ্গে। আর মানুষের হাতে ছেড়ে দাও, তৃণমূলকে হারাতে তারা কাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে। শুভেন্দু সাফ করে দেন, যাঁরা সত্যি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে চান, তাঁরা বলবেন ‘নো ভোট টু মমতা’।
শুভেন্দু এই পরিপ্রেক্ষিতে বামেদের ঠুকে জানান, বিধানসভায় ‘নো ভোট টু বিজেপি’ও বলবেন, আবার নিজের ভোটও চাইবেন, আবার মমতা-মোদীকে গালমন্দ করবেন- এত সব কিছু কি একবারে হয়! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে গেলে লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে। আমি বাম আমলে ছাত্র রাজনীতি করেছি, বাম আমলে আমি কাউন্সিলর ছিলাম, বিরোধী দলের বিধায়কও ছিলাম। বাম আমলটা আমি দেখেছি।