সিভিক ভলেন্টিয়ার্স নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত রাজ্য প্রশাসনের
নিউজ ডেস্ক::রাজ্যে স্থায়ী পুলিশকর্মী থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ার্সের সংখ্যা বেশি। কিন্তু এদের সেভাবে কোনো কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আসতে হয় নি। ফলে আপদকালীন সমস্যার সমাধানে এদের ব্যবহার করলে এরা তা করে উঠতে পারবে না। এই নিয়ে যখন চর্চা হচ্ছে ঠিক তখন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সিভিক ভলেন্টিয়ার্সদের ভূমিকা ঠিক কী? গত মঙ্গলবার এই প্রশ্নই তুলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সিভিক ভলেন্টিয়ার্সদের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চান রাজ্যের কাছে। এমনকী বিষয়টি নিয়ে একটি বিস্তারিত গাইডলাইন তৈরি করারও নির্দেশ দেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতেই আসলো নতুন গাইডলাইন। সেই গাইড লাইনে নানা নির্দেশিকা আছে।
সিভিক ভলেন্টিয়ার্সরা কী করবেন, তা কিছুটা স্পষ্ট হল। রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলেন্টিয়ার্সকে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছিল কোলকাতা হাই কোর্ট। সিভিক ভলেন্টিয়ার্সরা কী করবেন, তা কিছুটা স্পষ্ট হল। উচ্চ আদালত ২৯ মার্চের মধ্যে সিভিক ভলেন্টিয়ার্সদের গাইড লাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। তা সম্পূর্ণ হলো। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য স্পষ্ট করেছে কোন কোন কাজে তাদের ব্যবহার করা যাবে।
এই সার্কুলারে বলা হয়েছে, (১)কোনো সামাজিক বা ধর্মীয় উৎসব সিভিক ভলেন্টিয়ার্স পুলিশকে সাহায্যে করবে।(২)ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে তারা ট্রাফিক পুলিশকে সাহায্য করবে।(৩) বেআইনি পার্কিং ও (৪) মানুষের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তারা পুলিশের সহযোগী হবে। তবে কোনো কারণেই কোনো রাজনৈতিক সমাবেশে বা আইন শৃঙ্খলা জনিত বিষয়ে তারা নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নিতে পারবে না।
সাধারণভাবে এরা যথেষ্ট কর্ম তৎপর। মানুষকে সাহায্য করে। ট্রাফিকে কাজ পাওয়ার জন্য সিভিকদের মধ্যে বেশ উৎসাহ আছে। পথে গাড়ি করে যেতে গেলে ওদের তৎপরতা দেখা যায়।