মোদীর সঙ্গে BJP সাংসদের বৈঠক বাতিল!
নিউজ ডেস্ক : শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী সাংসদদের বৈঠক বাতিল। বিশেষ কারণে এই বৈঠক বাতিল বলে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে। তবে প্রধানমন্ত্রী অফিস থেকে এই বৈঠক বাতিলের পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার রাতে সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অমিত শাহ।
মঙ্গলবার রাতে বৈঠকের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর অফিস সময় দিয়েছিল। সেই মতো তৈরি ছিলেন বিজেপি সাংসদরা। কিন্তু পিএমও-র তরফে হঠাৎই জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে সময় দিতে পারবেন না নরেন্দ্র মোদী। এরপরেই বিজেপি সাংসদরা জানতে পারেন মঙ্গলবার রাতে তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অমিত শাহ। রাত নটায় এই সাক্ষাৎ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপরেই রয়েছে লোকসভা ভোট। সেরকম এক সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন বিজেপির সাংসদরা। তাঁরা ঠিক করেই নিয়েছিলেন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন। যদিও তা আপাতত হচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, যিনি কিনা বিজেপির সভাপতিও ছিলেন, তাঁর সঙ্গেই পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে চলেছেন সাংসদরা। এক্ষেত্রে পঞ্চায়েত নির্বাচনের রণনীতির বিষয়টিও উঠে আসতে পারে এদিনের বৈঠকে। অমিত শাহ ওই বৈঠকে সাংসদদের কাছ থেকে দলের বুথস্তরের শক্তিবৃদ্ধির ব্যাপারে প্রশ্ন করতে পারেন। দলের খুঁটিনাটি নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন তিনি। এব্যাপারে বিজেপি সাংসদরা তৈরি হয়েই যাচ্ছেন। তবে সুকান্ত-শুভএন্দু-সহ বিজেপি সাংসদরা যে পঞ্চায়েত ভোটে নিয়ে মূল আলোচনা করতে চলেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সোমবার দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁদের মধ্যে আধঘন্টার বেশি সময় ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়। তার পরেই সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি জঙ্গলরাজের থেকেও খারাপ।
মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৯ মার্চ ধর্নায় বসতে চলেছেন। সেদিন কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের তরফে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে ধর্না কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা রয়েছে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁরা দুজনেই এই মুহূর্তে দিল্লিতে। মঙ্গলবার রাতের বৈঠক সেরে তাঁরা কতটা তাড়াতাড়ি কলকাতায় ফিরতে পারেন, তারই অপেক্ষা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক শিবিরের ওপরে চাপ বাড়াতেই পাল্টা ধর্না কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি।