অধীর-গড়ে সংখ্যালঘু ভোট ফেরাতে উদ্যোগ তৃণমূলের
নিউজ ডেস্ক: সাগরদিঘি নির্বাচনে পরাজয় তৃণমূলের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে ধস নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু ভোট ফেরাতে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অবজার্ভার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন সংখ্যালঘু বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
রাজ্যের সংখ্যালঘুমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বুধবার বহরমপুরে সাংগঠনিক পর্যালোচনা বৈঠক করলেন। মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম ভবনে এই পর্যালোচনায় মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের বিধায়করা এবং মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি সহ সাংগঠনিক নেতৃত্ববৃন্দরা।
সিদ্দিকুলা চৌধুরী জানান, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে আমরা দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি। সাগরদিঘি নির্বাচনে কেন হার, কেন ভোটাররা মুখ ফেরালেন, তা যেমন জানতে মানুষের দুয়ারে যেতে হবে, তেমনই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাংগঠনিক অবস্থা পর্যালোচনা করাও জরুরি। সেই কাজ ইতিমধ্যে মালদহ থেকে শুরু করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলাতেও তৃণমূল সাংগঠনিক পর্যালোচনা শুরু করে দিল। ৩০ জন জেলা পরিষদের সদস্য, ৬ পুরসভার চেয়ারম্যান এবং ৭ জন বিধায়ককে নিয়ে এই বৈঠক হয়। সেখানে পর্যবেক্ষক হিসেবে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বার্তা দেন, তৃণমূল বহরে বাড়ছে। তাই তৃণমূলের মতো বড় দল যাতে সুস্থভাবে চলে সেজন্য একটি কর্মসূচি তৈরি করা জরুরি।
আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই মতো পরামর্শ দিয়েছেন। তৃণমূলে দরকার সঙ্ঘবদ্ধতা। অধীর-গড়ে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, কংগ্রেসের কোনো নেতৃত্ব নেই। কংগ্রেসের মানুষেরা এখন সব তৃণমূল হয়ে গেছে। সাগরদিঘির হার একটি বিরল ঘটনা।
অবশ্য কোনো না কোনো কারণে এই হার হয়েছে। আমাদের তা খুঁজে বের করতে হবে। আমরা আশাবাদী যে এই ঘটনা পুরো মুর্শিদাবাদে প্রবাহিত হবে না। এদিন আমরা শপথ নিয়েছি, আগামী দিনে অঞ্চল সভাপতি এবং জেলা সংগঠনের নেতৃত্ব যাঁরা আছেন তাদেরকে নিয়ে আগামী দিনে আমরা এক হয়ে তৃণমূলকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
সাগরদিঘি প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানান, আমাদের উন্নয়নে জোর দিতে হবে। জনসংযোগ বাড়াতে হবে। তাহলেই সমস্যার সমাধান হবে। সাগরদিঘির মানুষ আগামী দিনে স্বাগত জানাবে আমাদের। সাগরদিঘির সব মানুষ কংগ্রেসের নয়, আমরা সাগরদিঘিতে তৃণমূলের সংগঠন আরও মজবুত করে গড়ে তুলতে চাই।
শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী খুব বেশি কথা বলেন। একজন রাজ্যপালকে তিনি অনেক কটাক্ষ করেছেন। আমরা তাঁর এই কটাক্ষকে ঘৃণার চোখে দেখছি। তিনি তো রাজ্য চালাননি, রাজ্য চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মনে রাখা দরকার, কথা বলা খুব সহজ আর রাজ্য চালানো অনেক কঠিন।