২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ১০ হাজার ৭৫৩!
নিউজ ডেস্ক::নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনার সংক্রমণ। বেশ কয়েকটি রাজ্যের পরিস্থিতি রীতিমত উদ্বেগজনক। আর এর মধ্যেই গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হলেন ১০ হাজার ৭৫৩ জন।
ডেইলি পজিটিভিটি রেট ৬.৭৮ বলে জানা গিয়েছে। যা শুক্রবার ৫.০১ শতাংশ ছিল। গত সাতদিনের পজিটিভিটি রেট ৪.৪৯ ছিল বলে জানা গিয়েছে। ফলে সংখ্যাতেই স্পষ্ট কীভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। অন্যদিকে দেশে করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যে বিস্তারিত জানিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। আর সেই তথ্য অনুযায়ী দেশে করোনায় দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ হাজার ৭২০। এর একদিন আগে, শুক্রবার, করোনাভাইরাস রোগীর দৈনিক সংখ্যা ছিল ১১,১০৯ এবং সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৯,৬২২।
অন্যদিকে শুধু সংক্রমণই বাড়ছে তা নয়, মৃতের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এরপরেই দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫,৩১,০৯১ জন। যা মোটেই স্বস্তিদায়ক ছবি নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তবে স্বস্তির খবর এটাই যে সংক্রমণ থেকে মৃতের সংখ্যা বাড়লেও করোনাকে সারিয়ে যুদ্ধে জয় হচ্ছেন বহু মানুষ। আর তাই দেশে এই মুহূর্তে রিকভারি রেট ৯৮.৭০ রয়েছে বলেই জানাচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অন্যদিকে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে ইতিমধ্যে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে ভারতে সংক্রমণের বড় অংশই করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট XBB.1.16।
জিনোম সিকোয়েন্সের উপর নজর রাখা সংস্থা INSACOG- মোতাবেক, দেশে প্রতিদিনের করোনার ক্ষেত্রে ৩৮.২ শতাংশ কেস XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্টের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, XBB.1.16 করোনার সাব ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ভ্যারিয়েন্ট। বিশেষজ্ঞদের কথা মতো, XBB.1.16, XBB.1.5 দ্রুত ছড়াতে পারে।
এই অবস্থায় কি অবস্থা বাংলার? কতটা প্রস্তুত রাজ্য। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন আগেই জরুরি বৈঠক বসেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের নেতৃত্বেই এই বৈঠক হয়। যেখানে একাধিক স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দীর্ঘ বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
যেখানে কলকাতা এবং অন্যান্য জেলা হাসপাতালগুলিতে মক ড্রিল চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভ্যাকসিনেশন এবং পরীক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।