বিচারকের কাছে কুন্তল ঘোষের নালিশ!
নিউজ ডেস্ক::ইডির বিরুদ্ধে সরাসরি বিচারকের কাছে নালিশ ঠুকেছেন নিয়োগ কাণ্ডে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরক নাম নেওয়ার জন ইডি তার উপরে চাপ তৈরি করছে। এই নিয়ে বিচারকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
আজ ফের আদালতে পেশ করা হয় নিয়োগ দুর্নী মামলায় গ্রেফতার কুন্তল ঘোষকে। আদালতে ঢোকার মুখে তিনি সাংবাদিকদের কিছু না বললেও কুন্তল ঘোষ বিচারকের কাছে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। বিচারকের কাছে ইডির বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকেছেন কুন্তল ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়র নাম নিয়োগ দুর্নীতিতে রয়েছে বলে তাঁকে বলানোর চেষ্টা করছে ইডি।
এর আগেও কুন্তল ঘোষ দাবি করেছিলেন, ইডির অফিসাররা চাপ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের নাম বলতে চাপ দিচ্ছেন। সেদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করলেও জোর করে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তারপরেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ইডির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তদন্তকারীরা।
শাসক দলের নেতাকর্মীরা এই নিয়ে ইডির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি চক্রান্ত করে এজেন্সিকে দিয়ে এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। তারপরেই এবার সরাসরি কুন্তল ঘোষের আইনজীবী বিচারককে চিঠি দিয়ে ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। চিঠিতে অভিযোগ করেছেন মক্কেলের সঙ্গে তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না।
এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন ইডি-সিবিআই দিয়ে জোর করে নাম বলানোর চেষ্টা করছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন তাঁদের জোর করে শাসক দলের নেতাদের নাম বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি িদয়ে বলেছিলেন, দুর্নীতিতে তিনি জড়িত এটা প্রমাণ করতে পারলে তিনি শহিদ মিনারে ফাঁসি নিয়ে মৃত্যু বরণ করবেন।
নিয়োগ দুর্নীতিতে শাসক দলের একের পর এক নেতার নাম জড়িয়েছে। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। কুন্তল ঘোষ নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টালিগঞ্জেও ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেেছ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন একাধিক সিনেমা নির্মাণ এবং একাধিক ইভেন্টে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। তারপরেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষরাও জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপরেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।