সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা শুভেন্দু অধিকারীর!
নিউজ ডেস্ক::সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্য অনগ্রসর শ্রেণির গণনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। হাইকোর্ট হস্তক্ষেপে রাজি না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সেই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট মামলা খারিজ করে দেওয়ায় রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা নিয়ে আপাতত আর কোনও জট রইল না।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে আইটেম নম্বর ৪৪ ছিল শুভেন্দু অধিকারীর জনস্বার্থ মামলা। লাঞ্চ ব্রেকের আগে আইটেম নম্বর ১৭-র শুনানি চলছিল। সেই সময় শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে এদিনই যাতে এনিয়ে কোনও কিছু রায় দেওয়া হয়, তার জন্য আবেদন করেন। রাজ্য সরকারের আইনজীবী এর বিরোধিতা করেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, মে মাসে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বলেন জুলাইয়ে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন বিষয়টি গুরুতর। তবে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা নিয়ে তাঁরা হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। তাঁর শুনানি তাড়াতাড়ি হওয়া সম্ভবপর নয়।
তারপরেই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিং এবং বিচারপতি পারদিওয়ালার বেঞ্চ এই আর্জি খারিজ করে দেন।
এর আগে বেশ কিছু বিষয় হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন তিনি। হাইকোর্ট এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। কেননা যে কোনও সময় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
তারপরেই সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন অবশ্য বিরোধী দলনেতার আবেদন সাড়া দিল না সর্বোচ্চ আদালত।
উল্লেখ করা প্রয়োজন রাজ্যে তফশিলি জাতি উপজাতিদের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১১ সালে আদমশুমারির ভিত্তিতে। সেখানে ওবিসি গণনা হয়েছিল বাড়ি বাড়ি করা সমীক্ষার ভিত্তিতে। এই পরিস্থিতিতে জনগণনা সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণায় আপত্তি ছিল বিরোধী দলনেতার।
হাইকোর্টে কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছিলেন ২০১১ সালের পরে রাজ্যে আর কোনও জনগণনা হয়নি। তাই ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে আসন সংরক্ষণ করতে গত বছরের ২৯ জুলাই ও ২ অগাস্ট দুটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেখানে অনগ্রসর শ্রেণির জনসংখ্যা নির্ণয়ের জন্য রাজ্য সরকারকে বলা হয়। সেই সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করেই অনগ্রসর শ্রেণির আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ জানিয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তারা কোনও রকমের হস্তক্ষেপ করবেন না। প্রয়োজনে শুভেন্দু অধিকারী কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন বলেও জানিয়েছিল আদালত। শুভেন্দু অধিকারী মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টে।